কেরলে প্রবল বৃষ্টি ও বিভিন্ন এলাকায় দফায়-দফায় ভূমিধ্বসের জেরে এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ, পুলিশ এবং দমকল বাহিনী স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। শনিবার কেরলের কোট্টায়াম জেলার কুট্টিকল এবং কোক্কায়ার পঞ্চায়েত এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি দফায়-দফায় ভূমিধ্বসে জেরে ১২ জনেরও বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ হয়েছেন। রবিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় জোরদার গতিতে চলছে উদ্ধারকাজ।
গত কয়েকদিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি কেরলে। দক্ষিণের এই রাজ্যের অধিকাংশ জেলা জলমগ্ন। তুমুল বৃষ্টির দোসর ভয়াবহ ভূমিধ্বস। রবিবার পর্যন্ত কেরলে ভূমিধ্বসের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট। বৃষ্টি-ধ্বসের জোড়া ফলায় কোট্টায়াম এবং ইদুক্কি জেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে কোট্টায়ামের কুট্টিকল পঞ্চায়েত এলাকা থেকে আরও চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিধ্বসের জেরে কেরলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট। শনিবার কুট্টিক্কল পঞ্চায়েত এলাকা থেকে দুই মহিলা ও এক শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
শনিবার ইদুক্কি জেলায় জলের তোড়ে ভেসে যায় একটি গাড়ি। ইদুক্কির কাঞ্জার এলাকায় এই ঘটনায় গাড়িতে থাকা এক মহিলা ও এক পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। কোট্টায়াম জেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এই জেলায় উদ্ধারকাজের তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী কে রাজন। তিনি জানিয়েছেন, দুর্গত এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে উদ্ধারের কাজ চলছে।
সরকারের একাধিক দফতর উদ্ধারকাজে গতি আনতে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। কোট্টায়াম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ভূমিধ্বসের জেরে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। প্রতি মুহূর্তে বিভিন্ন এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলছে। কোট্টায়ামে উদ্ধারকাজের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর এক কর্তা জানিয়েছেন, সেনার দল দুর্গত এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করছে। নিখোঁজদের খোঁজও জারি রয়েছে।
ওই সেনাকর্তা আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় সূত্র মারফত বেশ কয়েকজনের আটকে থাকার খবর মেলে। তবে বর্তমানে বৃষ্টি না হলেও আকাশ মেঘলা রয়েছে। কোট্টায়ামের কুট্টিকল পঞ্চায়েতের কাভালি গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ। প্যাঙ্গোড মিলিটারি স্টেশন থেকে মাদ্রাজ রেজিমেন্ট ওই গ্রামে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। কেরলের বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে সেনা।
আরও পড়ুন- আরও কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ, মার্চের পর সর্বনিম্ন মৃত্যু
আইএনএস গারুদা থেকে নৌবাহিনীর চপার বৃষ্টি বিধ্বস্ত কেরলের বিভিন্ন এলাকায় শুকনো খাবার-সহ অন্য ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। এরই পাশাপাশি তিরুঅনন্তপুরমের এয়ারফোর্স স্টেশনে আরও দুটি চপার তৈরি রাখা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে এই দুটি চপারও উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন