অসমে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করল। ইতিমধ্যে এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে সাড়ে ৫৪ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মে মাঝের মাঝামাঝি থেকেই অসমে বন্যা শুরু হয়েছে। ক্রমশ ক্ষতক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে শতাধিক বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
অসম সরকারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বরাক এবং ব্রহ্মপুত্র নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। একইসঙ্গে দুকূল ছাপিয়ে বইছে এই সব নদীগুলোর উপ এবং শাখানদীগুলোও। সব মিলিয়ে অসমের ৩৬ জেলার মধ্যে ৩২টি এই বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তার মধ্যেই অবশ্য আশার খবর, কিছু এলাকায় জলস্তরে কমেছে।
উদ্ধারকাজে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীকেও। এখনও পর্যন্ত ৩,৬৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোথাও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কোথাও আবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এই উদ্ধারকাজ চালিয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ২৭৬টি নৌকোকে উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মানুষ ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ফার্স্ট ব্যাটেলিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার সন্তোষকুমার সিং জানিয়েছেন, জওয়ানরা ৭০টি নৌকোয় ৪০০ জনকে উদ্ধার করেছে। বন্যাকবলিত জেলাগুলো থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০৭ জনের আরও আটটি দলকে গুয়াহাটি থেকে কপ্টারে চাপিয়ে বন্যাকবলিত এলাকায় আনা হয়েছে। তাঁরাও ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন।
আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রে সরকার টালমাটাল! পিছনে বিজেপির কলকাঠি, ‘সামনা’য় বিস্ফোরক শিবসেনা
উদ্ধারকাজে যে জেলাগুলোর ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো হল- কামরূপ, কামরূপ গ্রামীণ, বঙ্গাইগাঁও, বরপেটা, বাজলি, হোজাই, নলবাড়ি, দারাং, তামুলপুর, নগাঁও, উদলগুড়ি এবং কাছাড়। বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করছেন উদ্ধারকারীরা। জাতীয় জল কমিশনের রিপোর্ট বলছে, নগাঁও জেলার কামপুরে কপিলি নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। আবার শিবসাগরে দিসাং নদী বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। নিমতিঘাট, তেজপুর, গোয়ালপাড়া এবং ধুবড়ি জেলা প্লাবিত করেছে ব্রহ্মপুত্র। করিমগঞ্জ, কাছাড় এবং হাইলাকান্দি আবার বরাক নদী ভাসিয়ে দিয়েছে।
Read full story in English