ভারতীয় নৌসেনা প্রধানের দায়িত্ব নিতে চলেছেন ভাইস অ্যাডমিরাল করমবীর সিং, নৌবাহিনীতে যিনি "দ্য গ্রে ঈগল" নামে পরিচিত। শনিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে খবরটি জানানো হয়েছে। এই প্রথম কোনো সিনিয়র বিমানচালক নেভির প্রধান পদে দায়িত্ব পদ গ্রহণ করতে চলেছেন।
বর্তমানে এই পদের দায়িত্বে রয়েছেন অ্যাডমিরাল সুনীল লান্বা। আগামী ৩০ মে অবসর নিচ্ছেন তিনি। দু'মাস বাকি থাকতেই এই ঘোষণা রাজনৈতিক অন্দরে প্রশ্ন তুলেছে। সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভোটের মধ্যে পদ বদল প্রক্রিয়াটিকে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতেই শনিবার ঘোষণা করা হয়।
Government appoints Vice Admiral Karambir Singh, PVSM, AVSM, FOC in C Eastern Naval Command as the next Chief of Naval Staff vice Admiral Sunil Lanba,PVSM, AVSM, ADC, who vacates the office on 31 May 2019. pic.twitter.com/g5cKJb7KQm
— Defence Spokesperson (@SpokespersonMoD) March 23, 2019
আন্দামান ও নিকোবর কম্যান্ডের কম্যান্ডার-ইন-চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল বিমল ভার্মা, ভাইস অ্যাডমিরাল করমবীরের থেকে ছ-মাসের সিনিয়র তিনি। সিনিয়রিটি অনুযায়ী তাঁরই এই পদে আসার কথা। কিন্তু, তাঁকে বাদ দিয়ে ইস্টার্ন নাভাল কম্যান্ডের প্রধানকেই নৌসেনার প্রধান পদে বেছে নেয় বিজেপি সরকার। নৌ প্রধান পদের প্রার্থীরা ছিলেন ভাইস চিফ অফ নেভাল স্টাফ ভাইস অ্যাডমিরাল জেনারেল অশোক কুমার, ওয়েস্টার্ন নেভাল কম্যান্ডের ভাইস অ্যাডমিরাল অজিত কুমার এবং সাদার্ন নেভাল কম্যান্ডের ভাইস অ্যাডমিরাল অনিল কুমার চাওলা।
আরো পড়ুন Indian Navy Tradesmen Mate Recruitment 2019: মাধ্যমিক পাশ করলেই আবেদন করা যাবে নৌসেনার খালি পদে
এর আগে, ২০১৬ সালে সিনিয়রিটিতে এগিয়ে থাকা দুই আর্মি কম্যান্ডারকে প্রধান পদ না দিয়ে জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব দেয় মোদী সরকার। সরকারের তরফে অবশ্য বলা হয় সিনিয়রিটি নয়, মেধার ভিত্তিতেই নির্বাচন করা হয়েছে প্রার্থীদের।
অ্যাডমিরাল সিং, যিনি ছোটোবেলা কাটিয়েছেন জলন্ধরে এবং মহারাষ্ট্রের বার্নেস স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে এনডিএ তে যোগ দেন। ১৯৮০তে পদোন্নতি হয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীতে আসেন, ১৯৮২তে হেলিকপ্টার চালকের পদের সুপ্রীমোর যোগ্যতা অর্জন করেন। বিভিন্ন সময়ে তার সামরিক দক্ষতা ও গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন তাকে এই পদের অন্যতম দাবিদার করে তুলেছে বলেই দাবি একাংশের।
পুলওয়ামার ঘটনার পর স্থলে, জলে, বায়ুতে তিন পথেই নিরাপত্তা বাড়াতে চাইছে ভারত। ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলাকে মনে রেখে সমুদ্রপথে নিরাপত্তাকে মজবুত রাখতেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হচ্ছে।
Read this story in English