চিকিৎসা করবেন কী! এখন সেই প্রশ্নই তুলছেন চিনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। কারণ, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে স্থানাভাব। রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে হাসপাতালগুলোয় রোগীর কোনও শয্যা খালি নেই। যে সব রোগীর জন্য আইসিইউ দরকার, তাঁদেরকে তা দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, আইসিইউয়ে কোনও জায়গা খালি নেই। সব শয্যা ভরা। অথচ রোগী আসার বিরাম নেই। পরিস্থিতি সামলাতে না-পেরে রীতিমতো নাজেহাল দশা তাই চিনের চিকিৎসকদের।
চিনের রাজধানী বেজিংয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করছেন হাওয়ার্ড বার্নস্টেইন। পরিস্থিতি দেখে তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'কোনওদিন এরকমটা দেখিনি। একের পর এক রোগী আসছে। হাসপাতাল রোগীতে ভরে গিয়েছে। একটাও বেড খালি নেই। আইসিইউগুলো ভরা। অথচ রোগী আসার বিরাম নেই। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।' ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, যে সব রোগী আসছেন, তাঁদের মধ্যে আবার অনেকেই বয়স্ক। আর, তাঁদের মধ্যে কোভিড এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ আছে। খুব অসুস্থ। তার পরও কিছু করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন- ক্রিসমাসের সঙ্গে জুড়ে আছে ‘বক্সিং ডে’, কেন তা পালন করা হয়?
শুধু বার্নস্টেইনই নন। তাঁর মত চিনের অন্যান্য চিকিৎসা কর্মীদেরও একই মত। তাঁদের শুধু একটাই প্রশ্ন, এই অবস্থায় করবটা কী? নাগরিকদের প্রবল বিক্ষোভের পর চলতি মাসেই চিন তার আগের কঠোর কোভিড নীতি থেকে সরে এসেছে। তারপরই চিনব্যাপী সংক্রমণ ব্যাপক আকার নিয়েছে। রীতিমতো কোভিডের তরঙ্গ উঠেছে। যা মোকাবিলা করতে গিয়ে রীতিমতো হাল ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসাকর্মীরা।
তিন বছর আগে চিনের উহান থেকেই গোটা বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপর বর্তমানে যা পরিস্থিতি, এটাই চিনের সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব। চিনের রাজধানী বেজিঙের সরকারি হাসপাতাল এবং অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার জায়গাগুলো থিকথিক করছে ভিড়ে। আসছে একের পর এক লাশও। যদিও সেগুলো করোনার কারণে মৃত্যু বলে মানতে নারাজ চিন সরকার।
Read full story in English