যে ব্যক্তি মণিপুরে যৌন নিপীড়নের ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন, তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ভিডিওটি রেকর্ড করার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক। এর মধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, সিবিআই মণিপুর যৌন নিপীড়নের মামলাটি গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর, এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করবে, যাতে যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বিচার ভিনরাজ্যে চলে। বিচারের যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে তা রাজ্যের বাইরে, সম্ভবত অসমে হবে বলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর।
বর্তমানে মেইতেই এবং কুকি, উভয় সম্প্রদায়কে আলোচনার জন্য একই টেবিলে আনার চেষ্টা অনেকটাই এগিয়েছে। গোটা কাজটাই চলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে, মন্ত্রকের পরিকল্পনা অনুযায়ী। এপর্যন্ত মোট ১২ দফা আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে প্রতিটি সম্প্রদায়ের সঙ্গে ছয় দফা করে আলোচনা হয়েছে বলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর। তবে, যাঁরা যৌন নিপীড়ন চালাল, তাদের গ্রেফতার না-করে, যে ভিডিওটি তুলেছে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ইতিমধ্যে মণিপুর-কাণ্ডে গোটা দেশ উত্তাল। মণিপুরের যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দেশ তো বটেই বিদেশেও ভাইরাল হয়েছে। ওই ঘটনায় দেশের মুখ পুড়েছে বলে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন- অধিকর্তা ছাড়া ইডির দফতর কি অযোগ্যদের নিয়ে ভরা? আদালতে শুনতে হল কেন্দ্রকে
মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে সংসদ ভবনও। ইতিমধ্যে সংসদে মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চেয়ে বিরোধীরা তুলকালাম বাধিয়েছেন। যার জেরে অধিবেশন বারবার মুলতুবি করতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, এসবেও কাজ না-হওয়ায় বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। এত বড় কাণ্ড-কারখানা চলার মধ্য়েই মণিপুর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নতুন করে এই পার্বত্য রাজ্য থেকে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্য়েই যৌন নির্যাতনের ভিডিও যে ব্যক্তি তুলেছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার করার খবর সামনে এল।