নির্ভয়া কাণ্ড নাড়িয়ে দেশ গোটা দেশকে। সেই মামলায় যে আইনজীবী দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছিলেন, তিনিই এখন ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির মামলা লড়ছেন। দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে ২ দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে এবং এখন ২০ জুলাই অর্থাৎ আগামীকাল আদালত এই বিষয়ে শুনানি করবে।
বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংহের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগে উত্তাল দেশ। ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। মামলা উঠেছে আদালতে। সেই একই আইনজীবী যনি নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছিলেন। তিনিই ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থা মামলায় তার পক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ২০১২ সালে অ্যাডভোকেট রাজীব মোহন নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলায় দিল্লি পুলিশের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে হাজির ছিলেন এবং দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছিলেন।
মঙ্গলবার, তিনিই ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের বিষয়ে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে ব্রিজভূষণের পক্ষে দাঁড়িয়ে তার জামিনের আবেদন করেন। আদালত এই বিষয়ে ব্রিজভূষণকে ২ দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে এবং এখন ২০ জুলাই অর্থাৎ আগামীকাল আদালত এই বিষয়ে শুনানি করবে।
বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং ভারতের রেসলিং ফেডারেশনের পদে থাকাকালীন বহু মহিলা কুস্তিগীরকে যৌন হয়রানি করেন বলেন অভিযোগ। দিল্লির যন্তর মন্তরে কুস্তিগীররা তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বেশ কয়েকদিন বিক্ষোভের পর, কেন্দ্র কুস্তিগীরদের সঙ্গে কথা বলে এবং ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে একটি এফআইআরও দায়ের করা হয়। এফআইআর-এ ভুলভাবে স্পর্শ করা, বুকে ও নিতম্বে হাত দেওয়ার মত অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
২০১২ সালের নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার চার দোষীকে ২০২০ সালের মার্চে ফাঁসি দেওয়া হয়। অপরাধীদের মধ্যে ছিল এক নাবালকও। রাজধানীতে এক রাতে চলন্ত বাসে এই ঘটনা নাড়িয়ে দেশ গোটা দেশকে। আট বছর পর এই মামলায় দোষীদের সাজা হয়। এবং দিল্লিতে বিরাট আকারের বিক্ষোভ প্রদর্শন হয় এবং ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের জন্য কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও ওঠে।