গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর বিবিসি যে তথ্যচিত্র বানিয়ে তার লিংক অবিলম্বে সরানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। টুইটার, ইউটিউবকে এই নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইটির জরুরি আইন, ২০২১ অনুযায়ী এই নির্দেশ দিয়েছে মোদী সরকার। নির্দেশ অমান্য করলে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকেও ব্লক করে দিতে পারে। শুক্রবার কেন্দ্রের ওই নির্দেশের পর শনিবারই মোদীকে নিয়ে এই তথ্যচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লক করা হয়েছে। তথ্যচিত্রটির নাম, 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন।'
সূত্রের খবর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক একাধিক ভিডিও ব্লক করার জন্য ইউটিউবকে নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশ জারির আগে মন্ত্রক তথ্যচিত্রটির প্রথম পর্ব প্রকাশ করেছিল। এই ধরনের ইউটিউব ভিডিওর লিংক-সহ ৫০টিরও বেশি টুইট ব্লক করার জন্য টুইটারকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। সূত্রের খবর, এই নির্দেশ মেনে ইউটিউব এবং টুইটার উভয়ই ব্যবস্থা নিয়েছে। বিদেশ, স্বরাষ্ট্র এবং তথ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তথ্যচিত্রটি পরীক্ষা করে দেখেছেন। তাঁরা মনে করছেন, এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন বপনের চেষ্টা করা হয়েছে। ভারত সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিদেশি সরকার অপ্রমাণিত অভিযোগ করেছে এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন- কমান্ডের দায়িত্বে মহিলারা, ভারতীয় সেনায় এই ঘটনা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ?
সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ, এই তথ্যচিত্র 'ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে ক্ষুণ্ন করছে। যা বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতি বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।' আর, ইতিমধ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে বলেও মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। আর, সেই কারণেই তথ্যচিত্রটির এমন কুপ্রভাব কেন্দ্রকে আইটি বিধিমালা, ২০২১-এর অধীনে জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক।
এর আগেই বিদেশ মন্ত্রক তীব্র ভাষায় এই তথ্যচিত্রের নিন্দা করেছে। তথ্যচিত্রটি একটি অপ্রপ্রচার বলে জানিয়ে দিয়েছে। ব্রিটেনের সাম্রাজ্যবাদ কীভাবে ভারতে আজও থাবা বসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এই তথ্যচিত্র তার প্রমাণ বলেও অভিযোগ করেছে।
Read full story in English