ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। তিনি ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, শাসক দলের নেতাই সেদেশের প্রধানমন্ত্রী হন। সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ায় ইতিমধ্যেই ইতিহাস তৈরি হয়েছে। এই প্রথম ব্রিটেনের কোনও দল, তা-ও আবার শাসক দলের নেতা নির্বাচিত হলেন এক এশীয় তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। সুনাক প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরও তাই তৈরি হবে আরও একটি নতুন ইতিহাস।
চলতি বছরের মাঝামাঝি একগুচ্ছ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন বরিস জনসন। সেই সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন সুনাক। কিন্তু, তিনি জনসনের পদত্যাগের আগেই সরকারের প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। এরপর ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ হয়। সেই ভোটগ্রহণে প্রায় সমানে টক্কর দিয়েও শেষ পর্যন্ত লিজ ট্রাসের কাছে হেরে যান ঋষি সুনাক। কিন্তু, মাস দেড় মাস ক্ষমতায় থাকার পর গত বৃহস্পতিবারই সরকারের ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন ট্রাস। এরপরই ফের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনের প্রশ্ন আসে।
আরও পড়ুন- কেন এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম সিত্রাং দেওয়া হল, কে দিল নাম, কী এর মানে?
সুনাক ফের দলের নেতা হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বিভিন্ন মহল থেকে শোনা গিয়েছিল বরিস জনসন ফের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। কিন্তু, জনসন রবিবার রাতেই জানিয়ে দেন যে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। এরপর অপর সম্ভাব্য প্রার্থী মিজ মর্ডান্টও সোমবার বেলা দুটোয় প্রার্থীপদ ঘোষণার সর্বোচ্চ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর জানিয়ে দেন যে তিনিও এই নেতা নির্বাচনের দৌড়ে থাকবেন না। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে পারেন ৪২ বছর বয়সি ঋষি সুনাক।
তবে, তাঁর সামনে কাঁটাও কম নেই। সুনাকের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা পরস্পরকে অভিনন্দন জানানো শুরু করেছেন। কিন্তু, দুই বিরোধী রাজনৈতিক দল লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্যাটিক পার্টি আবার সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। দুই দলেরই দাবি কনজারভেটিভ পার্টির জমানায় ব্রিটেনের অর্থনীতির চূড়ান্ত সর্বনাশ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কনজারভেটিভ পার্টির কাছে নতুন কোনও সমাধানসূত্র নেই। তাই নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প।
Read full story in English