"ছাত্র ছাত্রীদের কোনো হোম ওয়ার্ক দেওয়া হয়েছে কি?", এক অভিভাবক জিজ্ঞেস করতেই শ্রীনগরের জম্মু কাশ্মীর পাবলিক স্কুলের দায়িত্বে থাকা ২৭ বছরের উমর ফারুক বলে উঠলেন, "একটু সময় দিন আমাদের। সমস্ত শিক্ষককে স্কুল খোলার খবর দিয়ে উঠতে পারিনি আমরা"।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার আগে পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক ছিল, শ্রীনগরের এই হুমহামা অঞ্চলের স্কুলটি পড়ুয়াদের হৈচৈয়ে একেবারে গমগম করত। কিন্তু বিগত একমাস ধরে স্কুলে তালা পড়ে গিয়েছিল। শুধু জম্মু কাশ্মীর পাবলিক স্কুলই নয়, উপত্যকার ৬ হাজার স্কুলের প্রত্যেকটারই কম বেশি একই হাল।
আরও পড়ুন, কাশ্মীরে ৩৭০ ও রাজ্যভাগ নিয়ে মামলার শুনানি সাংবিধানিক বেঞ্চে
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার সময় স্কুলের ২০০০ পড়ুয়া, ২০০ জন কর্মী, কেউই আসেনি স্কুল চত্বরে। ৮০খানা ক্লাসরুমই বন্ধ। স্কুলের বাসগুলো সারি সারি পার্ক করা রয়েছে স্কুল মাঠে।
প্রশাসনের কড়া নির্দেশ জারি রয়েছে, উপত্যকার সব স্কুল খোলা রাখতে হবে। প্রাইমারি স্কুল খোলা রাখার কথা ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। "তবে কয়েকজন মাত্র সহকর্মী এসেছিলেন। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা একজনও আসেনি", বললেন উমর ফারুক।
এর পর পর একে একে হাই স্কুল গুলো খোলার নিরদেশ জারি করেছে প্রশাসন। কিন্তু উপত্যকার ছবিটা খুব কিছু পাল্টায়নি। ছাত্রছাত্রীরা এখনও আসছে না স্কুলে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে বেশ কিছু অভিভাবক অবশ্য এসে খোঁজ নিচ্ছেন নিয়মিত।
বশির আহমেদ, মাধ্যমিক স্কুলের সুপারভাইজার জানিয়েছেন, রাস্তায় এখনও পর্যাপ্ত যান চলাচল শুরু হয়নি। তাঁকে আসতে হয় নিজের সাইকেলে।
কর্মীদের অনেকেরই এই পরিস্থিতিতে মনে পড়ে যাচ্ছে ২০১৬ সালের কথা। হিজবুল মুজাহিদ্দিন প্রধান বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন অচল ছিল উপত্যকা। কিন্তু উপত্যকাবাসীদের অনেকেই বলছেন, "তখন অন্তত শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পড়ুয়াদের বাড়িতেই কিছু কাজ দেওয়া যেত। এখন তো এটাও আমরা জানতে পারছি না, তাঁরা কী অবস্থায় আছেন"।
Read the full story in English