৩ মাস পর ৫০০-র নীচে দৈনিক সংক্রমণ দিল্লিতে। সোমবার গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমিত ২৩১ জন। শেষ ২ মার্চ উত্তরের এই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৫০০-র নীচে ছিল। এদিনের দৈনিক সংক্রমণ বিচার করে রাজ্যে পজিটিভ সংক্রমণের হার ০.৩৬%। একদিনে মৃত ৩৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৭৬ জন।
ইতিমধ্যে সেই রাজ্যে ধাপে ধাপে শুরু হয়েছে আনলক পর্ব। এদিকে, উত্তরাখণ্ডে আরও এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন চলবে। এদিন জানিয়েছে সরকারি একটি সুত্র। তবে, চার দেওয়া হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে।
অপরদিকে, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসছে , এমন সতর্কবার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকেরা। সেই কোভিডকালে বিপন্ন হতে পারে শিশুরা, সেই পূর্বাভাসও রয়েছে। সব দিক বিচার করে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে ভারতের বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতে মূলত ব্যবহৃত হচ্ছে তিনটি টিকা— বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন, অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড এবং রাশিয়ার স্পুটনিক ভি। ভারতের দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স এইমস।
৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যেই এই তিনটি টিকা প্রয়োগের অনুমতি রয়েছে। তবে ১৮-এর নিচে শিশুদের কোভ্যাক্সিন ট্রায়াল করা হবে। এর আগে শিশুদের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ১৩ মে ছাড়পত্র দেয় ভারত সরকার।
ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) শিশুদের উপর ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করার জন্য ভারত বায়োটেককে সম্মতি দেয়। ডিসিজিআইয়ের অনুমোদনের পরে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির (এসইসি) সুপারিশও গ্রহণ করা হয়। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাশাপাশি, গত ৮ মে দেশের দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৪ লক্ষের ওপরে। তারপর থেকে গত একমাসে প্রায় ৬২% কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এই নিম্নগতির ফলে হাসপাতালের ওপর চাপ কমছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা হাঁফ নিতে পারছেন। গত ৯ মে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৭ লক্ষ ৪৫ হাজার। গত রবিবার অর্থাৎ ৬ জুনের হিসেবে এই সংখ্যা ১৪ লক্ষ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সুত্রে খবর, প্রথম ঢেউয়ের সময় সংক্রমণের গ্রাফের তুলনায় ৪০% বেশি এই সক্রিয় সংক্রমণ। দেশের ৫টি রাজ্য, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, কেরল আর অন্ধ্রপ্রদেশ দেশের সক্রিয় সংক্রমণের ৭০% বহন করছে। প্রতি রাজ্যেই এক লক্ষের বেশি সক্রিয় সংক্রমণ। কর্ণাটক, তামিলনাড়ুতে সেই সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। তবে, আশা দেখিয়ে গত এক সপ্তাহে এই পাঁচ রাজ্যের সক্রিয় সংক্রমণ নিম্নমুখী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন