৩৬ ঘণ্টা আগে জামিন দিলেও এখনও জেলে কেন? এই প্রশ্ন তুলে দিল্লি দাঙ্গায় ইন্ধনে অভিযুক্ত টিন পড়ুয়াকে ছাড়তে নির্দেশ দিল আদালত। দিল্লির এক আদালত বলেছে, ‘এখনও ওই টিন পড়ুয়াকে জেলে কেন? অবিলম্বে ওদের মুক্তি দেওয়া হোক।‘ গত বছরের উত্তর–পূর্ব দিল্লির দাঙ্গায় এই তিন জনের জড়িত থাকার অভিযোগে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গত বছর মে মাস থেকে তিহার জেলে বন্দি নাতাশা নারওয়াল, দেবাঙ্গনা কলিতা আর আসিফ ইকবাল তানহা।এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালেই এই তিন জনের রিলিজ অর্ডারে সই করেন বিচারক রবীন্দর বেদী। একইসময়ে দিল্লি হাইকোর্টে এই তিন জনকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সওয়াল করেন তাঁদের আইনজীবী। সেই সওয়ালের পর অবিলম্বে দিল্লির কোর্টকে মধ্যস্থতা করে তিন পড়ুয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, ইউএপিএ আইনে আটক তিন পড়ুয়ার জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার দিল্লি দাঙ্গায় ইন্ধনের অভিযুক্ত দেবাঙ্গনা কলিতা, নাতাশা নারওয়াল এবং আসিফ ইকবাল তানহার জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। গত একবছর ধরে হাজতবাস করছেন এই ৩ তরুণ-তরুণী। তাঁদের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব দিল্লির দাঙ্গায় ইন্ধনের অভিযোগে দেশদ্রোহী আইন ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়েছে। ২০২০-র লকডাউনের সময় এই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
তারপর থেকে তিহার জেলেই বন্দি ছিলেন এই তিন জন। মাঝে একবার আসিফ ইকবালকে পরীক্ষার জন্য কয়েক সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী কাস্টডি জামিন দেওয়া হয়েছিল। এদিকে, মঙ্গলবার জামিন মঞ্জুর করে ইউএপিএ আইনের অপব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছিলেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল এবং জয়রাম ভামবাণী। তাঁদের মন্তব্য, ‘বিরোধী স্বর রোখার উদ্বেগ থেকে প্রতিবাদের অধিকার আর জঙ্গি কার্যকলাপকে গুলিয়ে ফেলেছে রাষ্ট্র। যদি এমন ধারা চলতে থাকে, সেটা গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন।‘
পাশাপাশি ইউএপিএ ব্যবহার নিয়েও দিল্লি পুলিশকে সতর্ক করেছে হাইকোর্ট। এদিকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে গত বছর সেপ্টেম্বরে চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসার ঘটনায় ওই ১৫ জনের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন(ইউএপিএ) ও আইপিসি-র বিভিন্ন ধারা লাগু করা হয়েছে
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন