New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/06/eid-themeidd-1-001.jpg)
Jerusalem al aqsa mosque replica, Eid Mubarak 2018: বারুইপুরে ঈদের থিম প্যান্ডেলে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ (ফোটো- ফিরোজ আহমেদ)
Jerusalem al aqsa mosque replica, Eid Mubarak 2018: এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মানজয়ী সুশান্ত পালের শিল্প নির্দেশনায় জনা চল্লিশেক শ্রমিকের পরিশ্রমে থিম ঈদের এই মণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সর্বধর্মের মানুষের মিলনের জন্য এই উদ্যোগ।
Jerusalem al aqsa mosque replica, Eid Mubarak 2018: বারুইপুরে ঈদের থিম প্যান্ডেলে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ (ফোটো- ফিরোজ আহমেদ)
ফিরোজ আহমেদ
Jerusalem al aqsa mosque replica, Eid Mubarak 2018: থিম পুজো এখন জলভাত। কিন্তু থিমের ঈদোৎসব? তেমনটা এতদিন খুব একটা চোখে পড়েনি তো? গত বছর থেকে সে অপ্রাপ্তি ঘোচানোয় উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। বারুইপুরে গেলে দেখা মিলবে থিম ঈদের। এ বছর জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের আদলে ঈদের থিম প্যান্ডেল তৈরি করেছে নজরুল সরণি ঈদ মিলনোৎসব কমিটি। সঙ্গে বাড়তি পাওনা সবে মিরাজের প্রদর্শনী।
মক্কা, মদিনার পরে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ ‘আল আকসা’। সেই মসজিদের ক্ষুদ্র সংস্করণ গড়ে তোলার কাজে মূল শিল্পী এর আগে বহু পুজোর থিম নির্মাতা হিসেবে পরিচিত। সেই এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মানজয়ী সুশান্ত পালের শিল্প নির্দেশনায় জনা চল্লিশেক শ্রমিকের পরিশ্রমে এই মণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছে। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সাদিক আলম জানালেন, ঈদ উপলক্ষে সর্বধর্মের মানুষের মিলনের জন্য এই উদ্যোগ। এই মণ্ডপ নির্মাণে খরচ হয়েছে পঁচিশ থেকে ছাব্বিশ লক্ষ টাকা। ঈদের দিন এই থিম দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাবেন বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা।
এবারই অবশ্য প্রথম নয়। গত বছর থেকেই ঈদের থিম চালু করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল বারুইপুরের এই কমিটি। সেবার তাদের থিম ছিল ‘মক্কা-মদিনা হজ প্রদর্শনী’। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাদিক বলেন, ‘‘জেরুজালেমের ‘আল আকসা’ মসজিদে যাওয়ার সাধ থাকলেও বেশির ভাগ মানুষেরই সেই সাধ্য নেই। সে কারণেই এই উদ্যোগ। গত বছর মক্কা, মদিনা ও হজ পর্বের পুরোটাই থিমের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছিল।’’
বৃহস্পতিবার বিকালে এই ঈদ মিলন উৎসবের সূচনা করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি নূর এ আলম চৌধুরি, সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান, ফুটবলার মেহতাব হোসেন সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এদিন উৎসবের সূচনা করে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা মন্দির মসজিদে গিয়ে শান্তিতে থাকার জন্য প্রার্থনা করি। সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রার্থনা করি। এই কয়েকদিন এই ইদ মিলন প্রাঙ্গনে বহু মানুষের সমাগম হবে। সব ধর্মের মানুষ মিলে মিশে একাকার হয়ে যাবেন। এখানেই উৎসবের সার্থকতা।’’