Punjab: কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতেই গুরুতর অভিযোগে বিদ্ধ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। ক্যাপ্টেনের পাকিস্তানি বান্ধবীর সঙ্গে নাকি আইএসআই যোগ রয়েছে। সেই যোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করবে পঞ্জাব পুলিশ। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান সেই রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং। যদিও সুখজিন্দর ব্যক্তি আক্রমণে নেমেছেন। এই অভিযোগে সরব পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, প্রায় ১৬ বছর ধরে বন্ধুত্ব ক্যাপ্টেন এবং পাক সাংবাদিক আরুসা আলমের।সেই আরুসার সঙ্গে নাকি তাঁর দেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের ঘনিষ্ঠ যোগ। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করবে পঞ্জাব পুলিশের ডিজি। যদিও ভারত সরকার এবং বিদেশ মন্ত্রক থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র নিয়ে গত প্রায় দেড় দশক এদেশে এসেছেন আরুসা। সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেন ক্যাপ্টেন। সেই দাবির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, ভারত সরকারের অনুমতি নিয়েই এদেশে আসতেন পাক সাংবাদিক। এবং সময়ে সময়ে বাড়ানো হয়েছে তাঁর ভিসার মেয়াদও। এদিকে, কংগ্রেসের একটি সুত্রের দাবি, ক্যাপ্টেন দল ছেড়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকতেই কোমর বেঁধেছে পঞ্জাব সরকার। যেদিন ক্যাপ্টেন কংগ্রেস ছাড়েন, ঠিক সেদিন ভারত ছাড়েন তাঁর বান্ধবী পাক সাংবাদিক। এটা নেহাৎ কাকতালীয় না পাকিস্তানের মদত? সেটা খতিয়ে দেখবে পঞ্জাব পুলিশ। এমনটাই কংগ্রেস সূত্রে খবর।
এদিকে, জল্পনাই সত্যি হল। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কংগ্রেস ছেড়়ে বেরিয়ে আসবেন কি না তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছিল। ঘনঘন মোদী-শাহের সঙ্গে দেখা করা নিয়েও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। মঙ্গলবার ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং জানিয়ে দিলেন, নিজের দল তৈরি করবেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দল ঘোষণা করে বিজেপি এবং শিরোমণি অকালি দলের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন তিনি। তবে তার শর্ত রয়েছে।
তিনি বলেছেন, কৃষকদের দাবিদাওয়া মিটলে তবেই বিজেপির সঙ্গে জোট করবেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে দিল্লিতেই রয়েছেন ক্যাপ্টেন। তাঁর মিডিয়া উপদেষ্টা বেশ কয়েকটি টুইট করে জল্পনা বাড়িয়েছেন। লিখেছেন, “পাঞ্জাবের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই চলবে। শীঘ্রই নিজের রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করব পাঞ্জাব ও তার জনতার স্বার্থের জন্য। সেইসঙ্গে কৃষকদের স্বার্থে যাঁরা একবছর ধরে অস্তিত্বের লড়াই লড়ছেন।”
তিনি আরও লিখেছেন, “যদি কৃষকদের দাবিদাওয়া মিটে যায় তাহলে আসন্ন পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হতে পারে। এছাড়াও সমান মতাদর্শের শিরোমণি অকালি দলের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে জোট হতে পারে। বিশেষ করে ধিন্দসা এবং ব্রহ্মপুরা অঞ্চলে।” ক্যাপ্টেনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। তাঁকে পাঞ্জাবের সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। এদিকে, শিরোমণি অকালি দলের (সংযুক্ত) সভাপতি সুখদেব সিং ধিন্দসা জানিয়েছেন, ক্যাপ্টেনের তরফে এখনও কোনও প্রস্তাব আসেনি। ক্যাপ্টেনের মতিগতি ভাল ঠেকছে না দেখে পাঞ্জাব কংগ্রেস মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে তাঁর স্ত্রী সাংসদ প্রীনিত কৌর দল না ছাড়েন। ক্যাপ্টেনের পদক্ষেপের কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, “পাঞ্জাবে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা এবং অভ্যন্তরীণ-বৈদেশিক শত্রুর থেকে সুরক্ষা প্রয়োজন।” তিনি বলেছেন, “আমি আমার জনতাকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, শান্তি-সুরক্ষার জন্য যা যা করার সব করব, যা এই মুহূর্তে সবচেয়ে দরকার।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন