NRC: জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি (NRC) এবং সংশোধিত নাগরকিত্ব আইন বা সিএএ (CAA) ঘিরে একসময় উত্তাল হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। পথে নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছিল নাগরিক সমাজ। কিন্তু এই দুই আইন কার্যকর করতে সেই সময় কোমর বেঁধে নেমেছিল মোদি সরকার। এরপর করোনার প্রকোপে থরহরিকম্প বিশ্ব। সেই আঁচ বাঁচতে পারেনি ভারতও। তাই করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে এনআরসি এবং সিএএ কার্যকরের ভাবনা ঠাণ্ডা ঘরে। আর আপাতত ঠাণ্ডা ঘরেই থাকবে জাতীয় নাগরিক পঞ্জী কার্যকর। মঙ্গলবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাব এই ইঙ্গিত দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘দেশব্যাপী এনআরসি কার্যকর করার কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার নোটিফিকেশন ১২ ডিসেম্বর ২০১৯-এ প্রকাশিত হয়েছে। ১০ জানুয়ারি ২০২০ এই আইন কার্যকর হয়েছে। তাই সিএ-র অধীনে যারা যোগ্য, তারা ১০ জানুয়ারি, ২০২০-র পর থেকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।‘
এদিকে, সংসদে শৃঙ্খলাভঙ্গ, হই-হট্টগোলের জেরে ১২ জন রাজ্যসভার সাংসদের সাসপেনশন ইস্যুতে চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন তোলার দাবি জানায় তারা। কিন্তু পত্রপাঠ আবেদন খারিজ করে দিলেন বেঙ্কাইয়া। সাফ জানিয়ে দিলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এমনকী সংসদও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম।
সোমবারই ১২ জন রাজ্যসভার সাংসদকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে ডিএমকে, শিবসেনা, এনসিপি, সিপিএম, সিপিআই, আরজেডি, ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ, ন্যাশনাল কনফারেন্স, আরএসপি, টিআরএস, কেরালা কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির নেতারা বেঙ্কাইয়ার দফতরে গিয়ে দেখা করেন। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাহুল গান্ধিও।
মল্লিকার্জুন এদিন জানান, আমরা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দফতরে এসেছি ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন তোলার আবেদন নিয়ে। এই ঘটনা হয়েছিল গত বাদল অধিবেশনে। কিন্তু এখন কেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিরোধীদের আবেদন খারিজ করে দেন বেঙ্কাইয়া। তিনি জানান, গত বাদল অধিবেশনের হই-হট্টগোল, বিশৃঙ্খলার স্মৃতি এখনও আমাদের সবাইকে উত্ত্যক্ত করছে। আমি চাইছিলাম এবং অপেক্ষায় ছিলাম গত অধিবেশনে যা হয়েছিল তার জন্য সংসদ ব্যবস্থা নেবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন