হার-জিৎ ছাড়াই প্যাংগং সো'র দুই তীর থেকে সামরিক সম্ভার সরিয়েছে ইন্দো-চিন। দ্বিপাক্ষিক এই সমঝোতা খুব ইতিবাচক উপসংহার টেনেছে। বুধবার জানান সেনা প্রধান এমএম নারাভনে। তাঁর দাবি, 'লাদাখ প্রশ্নে আরও কয়েকটি বিতর্কের সমাধান নিয়ে দুই দেশের আলোচনা চলছে।'
এদিন তিনি মন্তব্য করেন, 'পূর্ব লাদাখে তৈরি হওয়া সংঘাত দূর করতে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে দৌত্য চলেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, তাঁদের মন্ত্রকের মাধ্যমে আলোচনার রাস্তা রেখেছিলেন।'
এদিকে, দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে। চিনা সেনার সঙ্গে ১৬ ঘন্টার ম্যারথন বৈঠকে এই দাবি জানিয়েছে ভারত। প্যাংগং হ্রদ থেকে উভয় দেশের সেনা সরেছে। তারপরই দেপসাং থেকে চিনা বাহিনীকে সরাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত।
লাদাখের দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা খালি করতে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ভারত-চিন সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়। তাতে ভারতের তরফে নেতৃত্ব দেন লেহ্-র ২৪ কর্পস-এর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন। চিনের তরফে ছিলেন দক্ষিণ শিনজিয়াং প্রদেশের কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন।
প্যাংগং নিয়ে সমঝোতার পর দুই দেশের মধ্যে তিক্ততার রেশ অনেকটাই নিম্নমুখী। যদিও অতীত অভিজ্ঞতার নিরিখে সতর্ক নয়াদিল্লি। কথা ছিল প্যাংগংকের পর ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখায় বিরোধের বাকি অঞ্চলগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। সেইমতই কথা এগোয়। দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকেলাল-ফৌজকে সরানোর দাবি করে ভারত। তবে, আলোচনা হলেও এ সম্পর্কে এখনও দুই দেশ কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি বলে জানা গিয়েছে।