ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (বিএইচইউ) বারাণসী ক্যাম্পাসের প্রসারিত অংশে শুক্রবার নতুন স্ট্রিটলাইটগুলি ইনস্টল করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে কিছু বহিরাগত কিছু যুবক ক্যাম্পাসের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ নিরাপত্তা কর্মীদের প্রতি 300 মিটার অন্তর পাহারা দিতে দেখা গিয়েছে। সেই ঘটনার পর ছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। বেশিরভাগ পড়ুয়াকেই এদিন দল বেঁধে হাঁটতে দেখা গিয়েছে।
বুধবার নিউ গার্লস হোস্টেল থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে বহিরাগত কিছু যুবক তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলেই অভিযোগ। এরপরই ক্যাম্পাস জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে নতুন গেট বসানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের কারণে প্রশাসন কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ফলে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াতে হয়। একজন ছাত্র বলেন, “আমি এই গার্ডদের দোষ দিই না। তারা তাদের কর্তব্য পালন করে। কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। তারা ছাত্র এবং বহিরাগতদের মধ্যে তফাৎ ধরতে পারেন না।
মন্দিরের কাছে পোস্টে বসা একজন প্রহরী বলেছিলেন, “এখানে একটি মাঠ রয়েছে যা মূল বিএইচইউ ক্যাম্পাসের অংশ। এটি কৃষি বিজ্ঞান বিভাগের অধীনে এবং গবেষণার উদ্দেশ্যে চাষ করা হয়। কিছু জমিতে আগাছা ও লম্বা গাছ রয়েছে। এখানকার কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে চলে মদ-জুয়ার আসর”।
এক ছাত্রী জানান, গাড়িতে করে বহিরাগত যুবকরা দিনভর ক্যাম্পাসে আসেন। “তারা আসে, মেয়েদের সঙ্গে আশালীন আচরণ করে চলে যায়।” অন্য একজন ছাত্র, যিনি পিএইচডি করছেন, বলেন, “আইআইটি ক্যাম্পাস এখন মদ- জুয়ার আসরে পরিণত হয়েছে। বহিরাগতরাই এমন কাজ করে। "
বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী বলেন, “ক্যাম্পাসে অন্তত সাতটি গেট রয়েছে এবং বেশিরভাগ গেট সকলের জন্য খোলা। এর মধ্যে কিছু গেট দিয়েই তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।”
আইআইটি-বিএইচইউ-এর একজন আধিকারিক দাবি করেছেন যে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ করা বন্ধ করা কঠিন কারণ সেখানে বেশ কয়েকটি মন্দির এবং একটি সরকারী পরিচালিত হাসপাতাল রয়েছে।
বিক্ষোভের পরে, আইআইটি-বিএইচইউ প্রশাসন বলেছে যে আইআইটি ক্যাম্পাসটি বহিরাগতদের জন্য রাত ১০ টা থেকে সকাল ৫ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং সেখানে পাচিলও তৈরি করা হবে।