গতকালই দিল্লির বসন্ত বিহারের কাছে এক আবাসন থেকে মিলেছে তিন জনের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এটি আত্মহত্যার ঘটনা। বন্ধ আবাসন মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও। মৃতদের নাম মঞ্জু (৫০), তাঁর দুই মেয়ে আংশিকা ও অঙ্কু।
দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত বিহারের এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে ফ্ল্যাটটিকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করে তিনজনই আত্মহত্যা করে। এরপরই এলাকায় চঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেহ গুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত প্রাণ হারান মঞ্জু-দেবীর স্বামী। তারপর থেকেই পরিবারটি হতাশায় ভুগছিল। সেভাবে বাইরে বেরোতেও দেখা যায়নি পরিবারটিকে। মঞ্জু দেবীও শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন।
দিল্লি পুলিশও ঘটনাটিকে 'ট্রিপিল সুইসাইড' বলেই ব্যাখ্যা করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ঘরের সমস্ত দরজা, জানালা ভিতর দিয়ে বন্ধ ছিল। এমনকি জানলাগুলি প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল আত্মহত্যা নিশ্চিত করতে। দিল্লি পুলিশের এক সিনিয়ার আধিকারিক জানান, ঘটনাস্থল থেকে চারটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব দিক খোলা রেখেই তদন্ত চালানো হচ্ছে।
মঞ্জুদেবীর বাড়িতে আট বছর ধরে পরিচারিকার কাজ করতেন কমলা, তিনি বলেন, "আমি ৮-৯ বছর ধরেই এই বাড়িতে কাজ করতাম। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ আমাকে আসতে বারণ করা হয়। কিন্তু আমার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। ঘটনার আগের দিনও দিদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাচ্চাদের স্কুল ফি জোগাড়ে খুন, পুলিশের জালে অভিযুক্ত
তিনি বলেন, “মহামারী সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। ছোট মেয়েরা করোনাতে তাদের বাবাকে হারিয়েছে, এবং তাদের মা দীর্ঘদিন ধরেই শয্যাশায়ী। তারা খুবই ভালো মানুষ ছিল। আমার বাচ্চা হওয়ার সময় তারা আমার অপারেশনের জন্য টাকাও দিয়েছিলেন"। প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরেই ওই এলাকায় বাস পরিবারের। পরিবারের এক নিকট আত্মীয় বলেন, "এমন ঘটনা মানতে পারছি না। তারা মানসিক অবসাদের মধ্যে ছিল কিন্তু এই ঘটনা যে তারা ঘটাবে তা আমরা কেউ ভাবতেই পারিনি"।
Read full story in English