রমজান মাসে শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে শেষ জুমার নামাজের অনুমতি দিল না জম্মু কাশ্মীর প্রশাসন। রমজান মাসের আগের কয়েকটি শুক্রবার জুমার নামাজ পাঠে অনুমতি মিললেও শেষ শুক্রবারে সেই অনুমতি বাতিল করল প্রশাসন। জুমার শেষ নামাজকে কেন্দ্র করে চড়া হতে পারে প্রশাসন-বিরোধী সুর, উঠতে পারে আজাদি স্লোগান। নতুন করে ফের উত্তপ্ত হতে পারে উপত্যকার পরিস্থিতি। সেই আশঙ্কা থেকেই রমজান মাসের শেষ জুমার নামাজের অনুমতি দিল না জম্মু কাশ্মীর প্রশাসন।
শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদের সেক্রেটারি আলতাফ আহমেদ ভাট বলেন, ''ঐতিহাসিক এই মসজিদে জুমাতুল-বিদা (রমজানের শেষ জুমার নামাজ) এবং শব-ই-কদর (রমজানের ২৭ তম রাতের নামাজ)-এর অনুমতি দেওয়া হবে না। এটা আমাদের জানানো হয়েছে।" বুধবার রাতেই পুলিশ আধিকারিকদের একটি দল গিয়েছিল মসজিদে। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মসজিদ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিকরা।
শ্রীনগরের ঐতিহাসিক জামিয়া মসজিদে শব-ই-কদর -এর নামাজে বৃহস্পতিবার রাতে মুসলমানরা জেগে থাকেন এবং প্রার্থনা করেন। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমার জুমাতুল-বিদা নামাজ পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। জুমাতুল-বিদা নামাজ ঐতিহ্যগতভাবে শ্রীনগরের এই মসজিদে বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় জামাত। ১ লক্ষেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলিম এই নমাজে অংশ নেন।
আরও পড়ুন- তমলুকে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার মূলচক্রী
হঠাৎ কেন রমজান মাসের এই শেষ জুমার নামাজের অনুমতি বাতিল করে দিল পুলিশ? উপত্যকায় রমজানের এই শেষ জুমার নামাজে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ অংশ নেবেনে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এত বিশাল একটি সামাবেশে আজাদি স্লোগান উঠতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের।
এত বড় মাপের একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে যদি কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিত তৈরি হয় তবে তা সামাল দেওয়া পুলিশের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "ঐতিহ্যগতভাবে এই বিশাল সমাবেশ আজাদি প্রতিবাদে পরিণত হতে পারে। এত বিশাল সমাবেশ পরিচালনা করাও আমাদের পক্ষে কঠিন হবে।"
Read full story in English