বিখ্যাত অভিনেতা প্রকাশ রাজ, সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী-সহ ১৫ জন ব্যক্তির নামে প্রাণমাশের হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে প্রাপকদের বিশ্বাসঘাতক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, 'বিশ্বাসঘাতকদের নির্মূলের সেরা সময় ২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে।' কে পাঠাল হুমকি চিঠি? তার অবশ্য এখনও খোঁজ মেলেনি। প্রাণনাশের হুমকি চিঠিতে কারও স্বাক্ষর নেই বলেই জানা গিয়েছে।
বেলাগাভির কিট্টুর নিস্কাল মনতাপা মঠের প্রধান লিঙ্গায়েত নেতা নিজেগুনান্দা স্বামীকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতেও কারও স্বাক্ষর নেই। চিঠিতে বলা হয়েছে ওই লিঙ্গায়েত নেতা নিজের ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। চিঠিতে যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা যেন শেষ যাত্রার জম্য প্রস্তুত থাকেন। তারিখ বলা হয়েছে ২৯ জানুয়ারি ২০২০।
আরও পড়ুন: দেশদ্রোহিতার অভিযোগ, জেএনইউ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে আরও তিন রাজ্যের মামলা
হুমকি চিঠিতে যাঁদের নাম রয়েছে,সেই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন বজরং দল নেতা মাহিন্দ্রা কুমার, নাগার্জুনানন্দা স্বামী, নিদুমামিদি স্বামী, জয়প্রকাশ স্বামী, অভিনেতা চেতম কুমার, বিটি ললিতা নায়েক, মহেশচন্দ্র গুরু, অধ্যাপক ভগবান, মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন মিডিয়া পরামর্শদাতা দীনেশ আমিন মাট্ট, চন্দ্রশেখর পাতিল এবং সাংবাদিক অগ্নি শ্রীধর।
আরও পড়ুন: ‘ভারতে থাকলে নোবেল পেতাম না’, বিস্ফোরক নোবেলজয়ী অভিজিৎ
কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী বলেছেন,' তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কারণ তিনি সুস্থ সমাজ ও শান্তির জন্য লড়াই করছেন।' তাঁর সংযোজন, 'এই ধরনের হুমকিতে আমি পিছিয়ে আসব না।' এর পিছনে কে রয়েছেন, তা তিনি জানেন বলেও মন্তব্য করেছেন। বিজেপির সঙ্গে যুক্ত সংগঠন এর পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কুমারস্বামী। মানুষকে ওইসব সংগঠনের কাজ সম্পর্কে সচেতন করে দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেছেন, 'কুমারস্বামীকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেওয়া হবে ও এই চিঠির তদন্ত হবে।'
অভিনেতা-রাজনীতিবিদ প্রকাশ রাজ টুইটারে হুমকি চিঠি পোস্ট করে বলেছেন, 'এটা ভীরু কোনও গোষ্ঠীর কাজ। নিজেগুনান্দা স্বামী সহ বেশ কয়েকজনকে এই চিঠি পাঠান হয়েছে। ঠিক আছে।' বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত বলেন, 'এই সব হুমকি আমাদের কাজ থামাতে পারবে না। পুলিশ উপযুক্ত তদন্ত করে পদক্ষেপ করুক।'
Read the full story in English