দুর্ঘটনাক্রমে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের অভিযোগে তিন আধিকারিককে বরখাস্ত করল ভারতীয় বায়ুসেনা। হরিয়ানার এক ঘাঁটি থেকে ওই ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপিত হয়েছিল। তা গিয়ে পড়ে পাকিস্তানের মিয়াঁ চান্নু শহরে। এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহল পর্যন্ত গড়ায়। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। গঠিত হয় 'কোর্ট অফ এনকোয়ারি'। যার নেতৃত্বে ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার সহকারি উপপ্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আরকে সিনহা।
আর, সেই তদন্তেই দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তিন আধিকারিককে বরখাস্ত করা হল। এই ব্যাপারে ভারতীয় বায়ুসেনা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) থেকে বিচ্যুতির জন্যই চলতি বছরের ৯ মার্চ, ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তানে উড়ে গিয়েছে। এই জন্য তিন অফিসারকে দায়ী করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী এই তিন আধিকারিকের মধ্যে একজন গ্রুপ ক্যাপ্টেন, দ্বিতীয়জন উইং কমান্ডার এবং তৃতীয়জন স্কোয়াড্রন লিডার।
বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, 'এই তিন আধিকারিককে প্রাথমিকভাবে ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রিপোর্ট পাওয়ার পরই অবিলম্বে তাঁদের বরখাস্ত করেছে। ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট, বরখাস্তের চিঠি তাঁদের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে।' এর আগে ওই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরই সংসদে বিবৃতি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি সংসদের উভয় কক্ষকে আশ্বস্ত করে জানান যে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ। বিভিন্ন সময় তার ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হয়।
আরও পড়ুন- দেশজোড়ার বার্তা দিতে অরাজনৈতিক পদযাত্রায় রাহুল, ১৫০ দিনে হাঁটবেন ১২ রাজ্যে
এরপরই পাঁচ মাসের মাথায় তদন্ত করে প্রকৃত দোষী কারা, কী কারণে প্রতিবেশী দেশে ক্ষেপণাস্ত্রটি উড়ে গেল, তা উপযুক্ত যাচাইয়ের পরই বরখাস্ত করা হল তিন বায়ুসেনা আধিকারিককে। পাকিস্তান অবশ্য যৌথ তদন্তের দাবি করেছিল। এমনকী, ভারতে এসে তাদের বিশেষ দলকে তদন্ত করতে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছিল। তবে, বিরূপ প্রতিবেশী দেশটির সেই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। তারপরও দোষীদের কোনওমতে রেয়াত করা হবে না।
Read full story in English