Advertisment

সাংসদের মেল আইডি হ্যাকের অভিযোগে গ্রেফতার তিনজন

সাংসদের মেলআইডি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে শুক্রবার দিল্লিতে তিনজনকে অ্যারেস্ট করল BKC সাইবার পুলিশ। রাজ্যসভার সাংসদ হুসেন ডালওয়াইয়ের ইমেল আই-ডি হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hacking_big_new

ফের ইমেল হ্যাকিং-এর অভিযোগ উঠল তিন ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে।

সাংসদের মেলআইডি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে শুক্রবার দিল্লিতে তিনজনকে অ্যারেস্ট করল BKC সাইবার পুলিশ। রাজ্যসভার সাংসদ হুসেন ডালওয়াইয়ের ইমেল আই-ডি হ্যাক করার অভিযোগ উঠেছে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ভুয়ো ওই মেল আইডি থেকেমেল পাঠিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে সাইবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এফআইআর দায়ের করেন হুসেন। তদন্ত শুরু করার পর পুলিশ জানতে পারে যে, এর জেরে এক ব্যক্তি ৭০,০০০ টাকার লেনদেন করে ফেলেছেন। যদিও সেই টাকা ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Advertisment

এফআইআর দায়ের হওয়ার পর ঘটনার তদন্ত করতে সিনিয়র ইনস্পেক্টর সারদেশাই-এর অধীনে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন DCP (Cyber) আকবর পাঠান। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ জানতে পারে দিল্লির ঠিকানা ব্যবহার করে একটি ভুয়ো ইমেল আইডি তৈরি করা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ একটি তদন্ত দল পাঠানো হয় সেখানে।

আরও পড়ুন কাগজে কলমে নয়, অপরাধের তথ্য থাকবে অনলাইন

এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "ইমেল প্রোটোকল অ্যাড্রেসের ওপর ভিত্তি করে যেখান থেকে এই মেল আইডি তৈরি করা হয়েছে সেই জায়গাটি ট্রাক করা হয় এবং সেখান থেকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় যুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই আফ্রিকার নাগরিক।" পাশাপাশি এক ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া ৭০,০০০ টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ওই ব্যক্তি মনে করেছিলেন ওই মেলটি সাংসদ হুসেন ডালওয়াইয়ের মেল থেকেই পাছানো হয়েছে।

এ ছাড়াও অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে একাধিক সিম কার্ডও উদ্ধার করেছে পুলিশ। আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে “দিল্লির অভিযুক্তদের ট্রানজিট রিমান্ডে স্থানীয় আদালতে পেশ কর হয়েছে। তাদের ২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।"

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অভিযুক্তদের নাম, ঔত্রা গলহৌদ, ওকপেও মাইকেল, কোনাটে মহম্মদ। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে “অভিযুক্তরা একের পর এক মেল পাঠিয়ে যাচ্ছিলেন, এই মেলগুলির পাঠানো লিঙ্কে ছিল ভাইরাস, যে বা যাঁরা এই পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করছিলেন তাঁদের কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকে যাচ্ছিল। এমনকি এক ব্যক্তি তাতে ক্লিকও করেছিলেন।"

Read the full story in English 

cyber crime
Advertisment