/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/07/tata-nano1.jpg)
টাটা ন্যানোর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল
সিঙ্গুর থেকেই মৃত্যুপথযাত্রা শুরু হয়েছিল সিপিএম সরকারের, এ কথা জনান্তিকে স্বীকার করে নেন বাম নেতারাও। যে সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা হতে দেননি তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিচ্ছুক কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে। সিঙ্গুরের প্রস্তাবিত ন্যানো কারখানা পরে গুজরাটের স্থানান্তরিত করা হয়। ১০ বছর যেতে না যেতে সেই ন্য়ানোর ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। গত জুন মাসে মাত্র তিনটি ন্যানো গাড়ি এ দেশে বিক্রি করতে পেরেছে টাটা কোম্পানি। উৎপাদন করেছে মাত্র একটি গাড়ি।
কোম্পানির তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ন্যানো গাড়ির উৎপাদন বন্ধ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। টাটা মোটর্সের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ন্যানোর পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০১৯-এর পর ন্যানোর টিঁকে থাকা সম্ভব নয়। নতুন বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।’’
আরও পড়ুন, সরকারি উদ্যোগে অ্য়াপ ক্য়াবের ভাবনা পরিবহণ দপ্তরের
রতন টাটার মস্তিষ্কপ্রসূত এই গাড়ির দাম শুরুতে এক লক্ষ টাকা থাকলেও পরে সময়ের সঙ্গে দামও বাড়তে থাকে এ গাড়ির।
২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকেই ন্যানোর বাজার পড়তে শুরু করে। ২০১৭-র মে মাসে টাটার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি ন্যানোকে ‘ফেইলড প্রোজেক্ট’ বলে অভিহিত করেন। ন্যানোর উৎপাদন টাটা কোম্পানি ‘আবেগজনিত কারণে’ বন্ধ করছে না বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।