Advertisment

নারীর ওপর অত্যাচার নিয়ে মহিলা কমিশনের বারবার চিঠি, নিরুত্তর মণিপুর প্রশাসন!

বুধবার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Rekha Sharma

বৃহস্পতিবার, যৌন নিপীড়নের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভের পরে, রেখা শর্মা মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি উভয়কে চিঠি লিখে ভিডিওটি চিহ্নিত করেছিলেন। আর, চার দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়ার রিপোর্ট তলব করেছিলেন।

জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা শুক্রবার অভিযোগ করেছেন যে তিনি মণিপুরের আধিকারিকদের তিনবার চিঠি লিখেছিলেন। মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা এবং অভিযোগগুলো জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, চিঠির কোনও উত্তর পাননি। রেখা শর্মা জানিয়েছেন যে তিনি মণিপুরের একটি গোষ্ঠীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সেই রাজ্যের মুখ্যসচিব বিনীত জোশী ও ডিজিপি রাজীব সিংয়ের কাছে ২৩ মে পাঠিয়েছিলেন।

Advertisment

তার মধ্যে ২৯ মে, তিনি জোশীকে লিখেছিলেন যে ৩ মে মণিপুরে যে হিংসা শুরু হয়েছিল তার সম্পর্কে জাতীয় মহিলা কমিশন খোঁজখবর নিয়েছে। খাদ্য, নিরাপত্তা, আশ্রয় এবং স্বাস্থ্যসেবা-সহ স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ এবং অস্থায়ী আশ্রয়ে স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও হিংসা ও নারীর হয়রানি রুখতে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি এবং তার তাত্পর্য মাথায় রেখে মণিপুর সরকারের কাছে অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের পাশে দাঁড়ানো আর, গোটা বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। রেখা শর্মা জানিয়েছেন, এরপর ১৯ জুন, তিনি জোশীকে আরেকটি চিঠি লিখেছিলেন যে জাতীয় মহিলা কমিশন মণিপুরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রতিক দুর্ভাগ্যজনক সংঘর্ষের ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছে।

জাতীয় মহিলা কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, বেশ কিছু তথ্য এসেছিল মণিপুরের বাইরের ব্যক্তিদের কাছ থেকে। তাঁদের মধ্যে একজন আবার ভারতের বাইরে থেকে এসেছিলেন। রেখা শর্মা জানিয়েছেন, তিনি মণিপুর সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের অবিলম্বে সহায়তা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। সঙ্গে, ওই রাজ্যের মুখ্যসচিবরে কাছে এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও করেছিলেন।

আরও পড়ুন- বিরোধীদের ২৬৭-র দাবি মানেননি স্পিকার, রাজি হয়েছেন ১৭৬-এ, কী এর ফারাক?

কিন্তু, সেসব চিঠির কোনও প্রত্যুত্তর তিনি পাননি বলেই রেখা শর্মার অভিযোগ। ইতিমধ্যে মণিপুরের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটি ৪ মে তারিখের। ওই ভিডিও অনুযায়ী, একাধিক নারীকে নগ্ন করে প্যারেড করানো হয়েছে। আর, জনতা ওই মহিলাদের যৌন নিপীড়নও করেছেন। বুধবার ওই ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তার পরই ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়।

Manipur crime Violence
Advertisment