সকালে তিনটি দেহ উদ্ধার। বিকেলের পর আরও ৯টি দেহ উদ্ধার হল। উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে হড়পা বানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। গত রবিবার বিপর্যয়ের পর থেকে উদ্ধারকাজ চলছেই। এখনও তপোবন সুড়ঙ্গের ভিতরে ৩০ জনেরও বেশি শ্রমিক আটকে রয়েছেন। নিখোঁজ প্রায় ১৬০ জন। এদিন তপোবন সুড়ঙ্গের কাদামাটির মধ্যে ৫টি দেহ, রেনি গ্রাম থেকে ৬টি এবং রুদ্রপ্রয়াগ থেকে একটি, মোট ১২টি দেহ উদ্ধার হয়। উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি রবিবার সকালেই টুইট করে জানান, তপোবন সুড়ঙ্গের ভিতরে কাদামাটির মধ্যে থেকে এদিন সকালে আরও দুটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিকেলে আরও তিনটি দেহ উদ্ধার হয়। উত্তরাখণ্ড পুলিশ, এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ যৌথ প্রচেষ্টায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, তপোবন সুড়ঙ্গের কাছে অস্থায়ী মর্গে দেহগুলি রাখা হয়েছে। চামোলির জেলাশাসক স্বাতী এস ভাদোরিয়া জানিয়েছেন, একটি হেলিকপ্টার তৈরি রাখা হয়েছে, জীবিতদের উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। গতকালই গাড়োয়ালের কমিশনার রবিনাথ রামন এনটিপিসি, সেনা, আইটিবিপি এবং এনডিআরএফ বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেন। উদ্ধারকাজে সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় সেই বৈঠকে। এনটিপিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,১২ মিটার গভীর পর্যন্ত সুড়ঙ্গে ড্রিল করে খোঁড়া হয়েছে। কিন্তু তাও পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না ক্যামেরা ঢোকানোর জন্য। আরও মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে সুড়ঙ্গে ৩০ সেমি পর্যন্ত চওড়া করা যায় গর্তের।
প্রসঙ্গত, এনটিপিসি-র জেনারেল ম্যানেজার আর পি আহিরওয়াল সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছিলেন, তিনটি প্রযুক্তিগত কৌশল অনুযায়ী উদ্ধারকাজ চলছে। শুক্রবার থেকে ড্রিল করে সুড়ঙ্গের পথ বড় করার কাজ শুরু হয়েছে। অন্তত এক ফুট চওড়া করতে পারলেও ভিতরে ক্যামেরা ও পাইপ ঢুকিয়ে আটকে পড়াদের হদিশ পাওয়া যাবে। এক ফুট ব্যাসার্ধের গর্ত করে ভিতর দিয়ে ক্যামেরা ও পাইপ ঢুকিয়ে জল বের করা যাবে। বাকি দুটি কৌশল হল এনটিপিসির ব্যারাজের বেসিন পরিষ্কার করে সুড়ঙ্গের ভিতরে কাদাজল প্রবেশ করা আটকানো। এবং ধৌলিগঙ্গার প্রবাহ যেটা বাঁদিকে সরে গিয়েছে সেটাকে ফের ডানদিকে করা। হড়পা বানের জন্য কাদা পরিষ্কারের কাজও ব্য়াহত হচ্ছে।