গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন জন মায়ানমারের বাসিন্দা মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে চিকিৎসার জন্য এসেছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, ওই তিনজন মায়ানমারের তামু টাউনের বাসিন্দা। ভারতের সীমান্ত শহর মোরেহ শহর থেকে পাঁচ কিমি দূরেই তামু টাউন। তবে এখন পরিষ্কার নয়, মায়ানমারের বাসিন্দারা কীভাবে বর্ডার টপকে ভারতে এলেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে অনেকবার জেলা প্রশাসনকে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে মনে করা হচ্ছে, মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর বহু মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যেই বেশ কিছু ভারতেও চলে আসছেন বলে খবর। মোরে সীমান্তের স্থানীয় সূত্রে খবর, আহত ব্যক্তিদের শুক্রবার রাতেই মোরে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ইম্ফলের হাসপাতালে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, আহতদের নাম ফুয়ো, নায়ে উন এবং নায় নায় থো।
জানা গিয়েছে, মোরেহ হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী, ফুয়োর তলপেটে গুলি লেগেছে। নায়ে উনের বুকে এবং ডান পায়ের হাঁটুতে গুলি লেগেছে। নায় নায় থোর পিঠে গুলির ক্ষত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ মণিপুরের ভারত-মায়ানমারের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পড়শি দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। মায়ানমারও সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে অতিমারীর জন্য।