বঙ্গোপসাগরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে আবারও ডুবে গেল ৩ টি ট্রলার। ঘটনায় ১৯ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ । মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করতে উপকূল রক্ষীবাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা জোর তল্লাশি চালাচ্ছেন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ, নামখানা ও ফ্রেজারগঞ্জ থেকে প্রায় দুশো ট্রলার বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম দিকে দিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে যাচ্ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় আচমকাই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ট্রলারগুলি। সমুদ্রে প্রবল ঝড় এবং ঢেউয়ের তোড়ে তিনটি ট্রলার ডুবে যায় এবং অন্য় তিনটি ট্রলার থেকে কয়েকজন মৎস্যজীবী সমুদ্রে পড়ে তলিয়ে যান। জানা গিয়েছে এফ বি জয় কৃষাণ, এফ বি শিবানী এবং এফ বি মল্লেশ্বর নামে তিনটি ট্রলার সুন্দরবনের কেঁদো দ্বীপের কাছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে। এর মধ্যে কাকদ্বীপের এফ বি জয় কৃষাণ ট্রলারটিতে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তার মধ্যে ৬ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ১০ জন নিখোঁজ। ডুবে যাওয়া কাকদ্বীপের অন্য ট্রলার এফ বি শিবানীতে ১৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। এঁদের প্রত্যেককেই উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে ফ্রেজারগঞ্জ এর এফ বি মল্লেশ্বরের ১১ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে ৬ জন মৎসজীবী উদ্ধার হয়েছেন। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে অন্যান্য ট্রলারগুলি রক্ষা পেলেও তার মধ্যে কয়েকটি ট্রলারের কয়েকজন মৎস্যজীবী ট্রলার থেকে মাঝ সমুদ্রে পড়ে গিয়ে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ। সব মিলিয়ে মোট ১৯ জন মৎস্যজীবীনিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে কাকদ্বীপ মৎসজীবী ট্রলার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‘সোমবার সন্ধ্যার সময় মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। তিনটি ট্রলার ডুবে গিয়েছে, কয়েকজন মৎসজীবী নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, আবাওয়া দফতর এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। আমরা যদি সতর্ক বার্তা পেতাম হয়তো ট্রলারগুলিকে তড়িঘড়ি উপকুলে নোঙর করা যেত।’’
ট্রলারডুবির ঘটনায় কাকদ্বীপে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারে এখন কান্নার রোল।