অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষিত হল। তিন মার্কিন অর্থনীতিবিদকে দেওয়া হল এবারের অর্থনীতিতে নোবেল। সোমবার স্টকহোমের রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে। পুরস্কার পেলেন বেন এস বারনানকে, ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড ও ফিলিপ এইচ দিভবিগ। এর মধ্যে বারনানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইউএস ফেডারেল রিজার্ভের প্রাক্তন প্রধান।
এই তিন অর্থনীতিবিদকে ব্যাংক এবং আর্থিক সমস্যা নিয়ে গবেষণার জন্য পুরস্কৃত করা হল। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, এই গবেষণা বুঝিয়ে দিয়েছে ব্যাংকের পতন রোধ করা কেন জরুরি। নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় ৯ লক্ষ মার্কিন ডলার পাবেন তিন গবেষক। এই অর্থ পুরস্কার প্রাপকদের হাতে ১০ ডিসেম্বর তুলে দেওয়া হবে।
নোবেল পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেল ইচ্ছাপত্রে অবশ্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারের কথা ছিল না। ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেলের এই ইচ্ছাপত্র তৈরি হয়। অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়ার শুরুটা হয় সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইচ্ছায়। অর্থনীতিতে প্রথম নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় ১৯৬৯ সালে। গত বছর অর্থনীতিতে নোবেলের অর্ধেক অর্থ পেয়েছিলেন ডেভিড কার্ড।
কীভাবে ন্যূনতম বেতন, শিক্ষা এবং পরিযায়ী হয়ে যাওয়া শ্রম বাজারে প্রভাব ফেলে, তা গবেষণায় তুলে ধরায় তাঁকে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। বাকি অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল জসুয়া আঙ্গরিস্ট ও গুইডো ইমবেনসের মধ্যে। তাঁদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল কারণ, প্রথাগত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সঙ্গে সহজে খাপ খায় না এমন সমস্যাগুলি কীভাবে বোঝা যায়, সেই পদ্ধতি তাঁরা আবিষ্কার করেছিলেন।
আরও পড়ুন- প্রসাদ খেয়েই ৭০ বছর কাটাল কুমির, মারা গেল কেরলের মন্দিরের ‘বাবিয়া’
এবছর নোবেল পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয় ৩ অক্টোবর। প্রথম দিন চিকিৎসা ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রাপক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় সুইডেনের বিজ্ঞানী স্বন্তে পাবোর। তিনি নিয়ানডারথাল ডিএনএর গোপন রহস্য উন্মোচন করে এই পুরস্কার পেয়েছেন। এই নিয়ানডারথাল ডিএনএই আমাদের ইমিউন ব্যবস্থার মূল দিকগুলোর প্রতি নজর রাখতে সহায়তা করে। চিকিৎসা শাস্ত্রের পরদিন মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে পুরস্কার দেওয়া হয়।
তিন বিজ্ঞানীকে পদার্থবিদ্যায় নোবেল দেওয়া হয়েছে। এই তিন বিজ্ঞানী হলেন ফ্রেঞ্চম্যান অ্যালেন অ্যাসপেক্ট, আমেরিকান জন এফ ক্লজার ও অস্ট্রিয়ান অ্যান্টন জিলিঙ্গার। তাঁরা দেখিয়েছেন, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরও অণুগুলোর মধ্যে সংযোগ থেকে যায়। যাকে বলা হয় কোয়ান্টান এনট্যাঙ্গলমেন্ট। এই গবেষণার দেখানো পদ্ধতি মেনে অণুর অভ্যন্তরীণ গণনা এবং তথ্য সংগ্রহ সহজ হয়েছে।
Read full story in English