Advertisment

দমবন্ধ পরিস্থিতি তিহাড়ে, বন্দি সুরক্ষায় বিরাট সিদ্ধান্ত জেল কর্তৃপক্ষের

দিল্লির তিনটি বড় জেল মিলিয়ে ২০,০০০-এর বেশি বন্দি রয়েছেন। যেখানে তিনটি জেলে মোট বন্দি ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tihar jail delhi, delhi new jails, Delhi Prison system, Delhi Prisons, Delhi Tihar Jail, Tihar jail, Delhi news, New Delhi, Indian Express, current affairs

দিল্লির তিনটি জেলে বন্দিদের থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই, এবার নরেলায় তৈরি চতুর্থ জেলে বন্দিদের স্থানান্তরের ভাবনা জেল কর্তৃপক্ষের। তথ্য অনুসারে দিল্লির তিনটি জেলে প্রায় ২০ হাজার বন্দী রয়েছেন। যেখানে তিনটি জেলের মোট ধারণক্ষমতা মাত্র ১০ হাজার। বর্তমানে দিল্লিতে তিনটি বড় জেল রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে তিহার, মান্ডোলি, রোহিণী জেল এবং এখন নরেলায় চতুর্থ জেল তৈরি হতে চলেছে। জেল নির্মাণে কেন্দ্রীয় সরকার ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

Advertisment

তিহার জেল, দিল্লির বৃহত্তম কারাগারগুলির মধ্যে একটি। তিহাড় জেলে ৫,২০০ বন্দী রাখার ক্ষমতা রয়েছে। যেখানে বর্তমানে ১৩ হাজারের বেশি বন্দী তিহার জেলে রয়েছেন। একই সময়ে, রোহিণী জেলে বন্দী রাখার ক্ষমতা ১০৫০। যেখানে দু'হাজারেরও বেশি বন্দী রয়েছেন। অন্যদিকে, মন্ডোলির জেলে ধারণক্ষমতা ৩৭০০ বন্দী, যেখানে প্রায় ৪৩০০ বন্দী এখানে রয়েছেন। সব মিলিয়ে, দিল্লির তিনটি বড় জেল মিলিয়ে ২০,০০০-এর বেশি বন্দী রয়েছেন। যেখানে তিনটি জেলে মোট বন্দী ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার।

গত মাসে, গ্যাংস্টার তিল্লু তাজপুরিয়া খুনে ফের একবার জেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবিষয়ে এক জেল কর্মকর্তা বলেন, “আমরা মনে করি তিহাড় জেলকে আধুনিকীকরণ করার প্রয়োজন আছে। আমরা এর আগে রোহিণী এবং মান্ডোলি জেলে বন্দীদের স্থানান্তর করে চাপ কমানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেই ভাবনা খুব একটা কাজে আসেনি"।

তিহাড়কে বিশ্বের বৃহত্তম জেলগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যার মধ্যে নয়টি কেন্দ্রীয় কারাগার রয়েছে। যেখানে ৫,২০০ বন্দী রাখার ক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় কারাগারে মোট ১৩হাজারের বেশি জন বন্দী রয়েছে। মান্ডোলিতে ছয়টি কেন্দ্রীয় কারাগার রয়েছে। সেখানে বন্দীর ধারণক্ষমতা ১০৫০ কিন্তু বর্তমানে ২০৩৭ বন্দী সেখানে রয়েছেন। রোহিনীতে শুধুমাত্র একটি কেন্দ্রীয় কারাগার রয়েছে, যার বন্দী ধারণক্ষমতা ৩৭৭৬ কিন্তু সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে সেখানে ৪৩৫৫ জন বন্দী রয়েছেন।

ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে, তিহাড় জেল থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫০ টিরও বেশি মোবাইল ফোন। বেশ কয়েকটি জ্যামার রয়েছে জেল কমপ্লেক্সে। কিছুতেই কোন কাজ আসছে না। ১৯৬০-এর পরে নির্মিত ওয়াচ টাওয়ারগুলিও আপগ্রেড করা হয়নি।"অস্থায়ী ব্যবস্থা" হিসাবে, অফিসাররা বলেছেন যে তিহার জেলের ভিতরে খোলা জায়গায় নেট বসানো হচ্ছে। যাতে বিভিন্ন আইটেম পাচার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করা যায়।

Tihar Jail
Advertisment