‘নিখোঁজ’ তিহার জেল থেকে কোভিড প্যারলে বেরনো প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বন্দি। গত বছর সংক্রমণ সচেতনতা বিচার করে তিহার জেল থেকে ৬৭৪০ জনকে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩৪৬৮ জনের কোনও খোঁজ নেই। তাদের চিহ্নিত করতে দিল্লি পুলিশের সাহায্য চেয়েছে জেল কতৃপক্ষ।
জেল সুত্রে খবর, যাদের প্যারল দেওয়া হয়েছিল, অধিকাংশ কোমর্বিডিটির শিকার। এইডস, কিডনির সমস্যা, অ্যাস্থমা, যক্ষ্মা, ক্যান্সারের মতো রোগে কাবু ছিল সেই বন্দিরা। এদের মধ্যে কেউ বিচারাধীন, কেউ বা সাজাপ্রাপ্ত। প্রায় ১০,০২৬ জন বন্দি রাখতে সক্ষম দিল্লির এই অন্যতম প্রাচীন কারাগার।
সুত্রের খবর, যাদের প্যারল দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে ১,১৮৪ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। দিল্লির তিহার, রোহিণী আর মান্ডোলি এই তিনটি জেল থেকে তারা প্যারল পেয়েছিল। মুলত দু’সপ্তাহের প্যারলে তাদের ছাড়া হলে, পরে তা বাড়তে থাকে। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণের শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ১১৮৪ জনের মধ্যে ১১২ জন নিখোঁজ। তাদের খোঁজে জেল কতৃপক্ষ বাড়ি গেলে, পরিবার জানিয়েছে, কোথায় তারা কেউ জানে না।
এদিকে, বাংলায় নতুন বছরের শুরু, কিন্তু আগামী আজ অনেকটাই চিন্তার। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এত বৃদ্ধি পেয়েছে দেশে যে এপ্রিলের ২ তারিখের পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে দু’লক্ষেরও বেশি। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা হয়েছে ১৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৭৭।
দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে করোনায় সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৮৯.৫১ শতাংশ।
বুধবার মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হন ৫৮ হাজার ৯৫২ জন৷ আরও ২৮৮ জন আক্রান্তের মৃত্যুর কারণে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৯৫২জন। স্বাস্থ্য দফতরের মতে, করোনার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, বুধবার সন্ধে ৮ টা থেকে ১৫ দিনের জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে মহারাষ্ট্রে৷
বুধবার বিহারে করোনার ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১৬৫১জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ লাখ ৫ হাজার ১৭১ জন।