কৃষক মহাপঞ্চায়েত বক্তব্য রেখে আন্দোলনের সমর্থনে সওয়াল রাকেশ টিকাইতের। কৃষক আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ রাকেশ। বুধবার হরিয়ানার কান্দেলা খাপ আয়োজিত মহাপঞ্চায়েতের প্রধান বক্তা ছিলেন টিকাইত। সেই পঞ্চায়েতে তাঁর আবেদন, 'আপনারা দলে দলে সমাবেশে যোগ দিয়ে এই মহৎ স্বার্থ সফল করুন।' ইতিমধ্যে দিল্লি সীমান্তে জমায়েত শুরু করেছে ট্র্যাক্টর আর চার চাকার গাড়ি। প্রায় ৫০ হাজার জমায়েতের সম্ভাবনা। এমনটাই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে এই আন্দোলনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন পপ স্টার রিহানা এবং পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। পাশাপাশি সমর্থন করে সুর চড়িয়েছেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভাইঝি। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও সমর্থনের ধার বাড়ায় আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী কৃষক নেতারা। এমনটাই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন সূত্রে খবর।
যদিও থুনবার্গ ও রিহানার সমর্থনের কড়া সমালোচনা করেছে বিদেশ মন্ত্রক। এটা দুর্ভাগ্যজনক, অযাচিত কয়েকজন নিজেদের স্বার্থ এই আন্দোলনের মাধ্যমে চরিতার্থ করতে চাইছে। এভাবেই নাম না করে রিহানা ও থুনবার্গের সমালোচনা করেছে বিদেশ মন্ত্রক। এদিকে, এদিন সুপ্রিম সংক্রান্ত কৃষক আন্দলন সংক্রান্ত জোড়া মামালা খারিজ করেছে/ একটা মামলায় দাবি, 'প্রজাতন্ত্র দিবসের হিংসার বিচারভিাগীয় তদন্ত হোক।' অন্য মামলায় দাবি, 'কোনওরকম তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী বলা বন্ধ করুক প্রচারমাধ্যম।' এর আগে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা বলেছে, 'যতক্ষণ না দিল্লি সীমান্তের ব্যারিকেড খুলছে সরকার। ততক্ষণ কোনও আলোচনা নয়। ' টিকাইত দাবি করেন, 'পুলিশ ব্যারিকেড তাদের আটকাতে পারবে না। আগামী অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত তাঁরা আন্দলন চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।'