প্রায় ২৪ বছর বাদে আসামের পাঁচ বাসিন্দার হত্যাকাণ্ডের রায় শোনাল আদালত। ১৯৯৪ সালে আসামের তিনসুকিয়া জেলায় পাঁচ বাসিন্দার হত্যা মামলায় এক মেজর জেনারেল সহ সাত সেনাকর্মীকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল সামরিক আদালত। গত শনিবার আদালত এই রায় শোনা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে যে, আদালতের রায় প্রসঙ্গে এখনও পরিষ্কার ভাবে কিছু জানাননি কর্তৃপক্ষ। তবে ওই সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, দিনজান এলাকায় সামরিক আদালতে ১৯৯৪ সালের ওই এনকাউন্টার মামলায় রায় শোনানো হয়েছে।
১৯৯৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির রাতে প্রবীণ সোনওয়াল, প্রদীপ দত্ত, দেবজিৎ বিশ্বাস, অখিল সোনওয়াল, এবং ভবেন মোরান নামের পাঁচজন যুবককে পাকড়াও করে সেনা। এরপর সে বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই পাঁচজন যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। পাঁচজনই অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (AASU) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি AASU-র সহ সভাপতি জগদীশ ভুঁইয়া গুয়াহাটি আদালতে আটকদের হাজির করানোর আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেন। যে পিটিশনের ভিত্তিতে আটকদের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয় হাইকোর্টের তরফে।
আরও পড়ুন: এনকাউন্টারে দুষ্কৃতীদের ভয় দেখাল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ!
অন্যদিকে, দেহগুলি উদ্ধারের পর সেনার তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, মৃতরা চরমপন্থী। সেনার এহেন দাবির নিরিখে, হাইকোর্টে ফের আবেদন জমা দেন আসাম পেট্রো-কেমিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান জগদীশ ভুঁইয়া। সেসময় এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। এরপর সিবিআই এ মামলায় সামরিক আদালতের প্রস্তাব জানায়। সেই প্রস্তাবে হাইকোর্টের তরফে সিলমোহর দেওয়া হয়। পরে এ মামলা সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখানেও সামরিক আদালতের কথা বলা হয়।
শেষমেশ আদালতের রায় প্রসঙ্গে জগদীশ জানান যে, এই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রায়ের ফলে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা আরও একবার প্রমাণ করল যে, দেশের যে কেউ বিচার পেতে পারেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
Raed the full story here in English: Tinsukia killings: Major General, six other Armymen get life term