Advertisment

টিপুর আমলে মন্দির ভেঙে তৈরি মসজিদে চাই প্রার্থনার অনুমতি, দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের

কর্নাটকের মন্ত্রীর কথায়, 'আমরা কোনও ঝামেলা না করেই সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুসারে সমস্ত মন্দির পুনরুদ্ধার করব।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tipu sultan mosque hindus prayers karantaka srirangapatna narendra modi vichar manch

শ্রীরঙ্গপাটনায় জামিয়া মসজিদ।

জ্ঞানবাপি মসজিদ বিতর্ক তুঙ্গে। তার মধ্যেই হইচই শুরু হল কর্নাটকে। অতি ডানপন্থী গোষ্ঠীর কর্মীরা মসজিদে প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়ে মান্ডিয়া জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে।

Advertisment

নরেন্দ্র মোদী চিন্তা মঞ্চ বিশ্বাস করে যে, বেঙ্গালুরু রাজ্যের রাজধানী থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে শ্রীরঙ্গপাটনায় জামিয়া মসজিদ টিপু সুলতানের শাসনকালে নির্মিত হয়েছিল। যেখানে একসময় একটি হনুমান মন্দির ছিল।

মঞ্চের সম্পাদক ও প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য সি টি মঞ্জুনাথ শনিবার মান্ডা জেলার ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখনই তিনি হিন্দুদের জামিয়া মসজিদের ভিতরে পুজো দেওয়ার অনুমতি চেয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। জামিয়া মসজিদ, মসজিদ-ই-আলা নামেও পরিচিত।

মঞ্জুনাথ সোমবার বলেন, 'নথিই প্রামাণ্য যে, টিপু সুলতান এক পার্সি শাসককে জানিয়েছিলেন যে ওই মসজিদের মধ্যে হনুমান মন্দির ছিল। মসজিদের স্তম্ভ এবং দেয়ালে হিন্দু শিলালিপিগুলিই আমাদের অবস্থানকে সমর্থন করে। হিন্দুদের প্রার্থনার জন্য আমরা তাদেরকে মসজিদের দরজা খুলে দিতে অনুরোধ করেছি।'

এ বিষয়ে এখনও জেলা শাসকদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

মসজিদ-ই-আলা শ্রীরঙ্গপাটনা দুর্গের অভ্যন্তরে অবস্থিত, যা বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় নির্মিত বলে মনে করা হয়। পরে যা টিপু সুলতান দখলে করেছিলেন। তিনি তাঁর প্রাসাদের কাছে মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটি ১৭৮২ সাল নাগাদ নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ঐতিহ্যবাহী এএসআই দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করাহয়ে থাকে। মসজিদের তরফে একটি মাদ্রাসাও চালানো হয়।

কর্নাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা দাবি করেছিলেন যে, মুসলিম নেতারাও নাকি স্বীকার করেছেন যে এই মসজিদের জায়গায়একটি মন্দির ছিল এবং মুঘল শাসনকালে প্রায় ৩০ হাজার মন্দির ভেঙা বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, 'আমরা কোনও ঝামেলা না করেই সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুসারে সমস্ত মন্দির পুনরুদ্ধার করব।'

Read in English

Jamia Masjid bengaluru mosque
Advertisment