ডুবে থাকা টাইটানিক জাহাজ দেখতে গিয়ে ডুবে যাওয়া টাইটান ডুবোজাহাজ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে, সেই ডুবোজাহাজ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। পাঁচ জন যাত্রী যাঁরা নিখোঁজ ডুবোজাহাজ টাইটানে ছিলেন, তাঁরা যদি বেঁচে থাকেন, এই আশা নিয়ে কাজ করে চলেছে উদ্ধারকারী দলগুলো। ওই ডুবোজাহাজের মধ্যে যতটুকু অক্সিজেন থাকার কথা, তা ইতিমধ্যেই ফোরানোর পথে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। কারণ, ওই ডুবোজাহাজে ৯৬ ঘণ্টার জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর, ডুবোজাহাজটি নিখোঁজ হওয়ার পর প্রায় ৯৬ ঘণ্টা হতে চলেছে।
তারপরও আশা ছাড়ছেন না উদ্ধারকারীরা। ওই জায়গায় আরও জাহাজ নিয়ে আসা হয়েছে। সেই সব জাহাজ জলের নীচের শব্দগুলো চিহ্নিত করেছে। একইসঙ্গে জানিয়েছে, নিখোঁজ ডুবোজাহাজের যাত্রীরা জলের নীচ থেকে বাঁচার জন্য সংকেত দিয়ে গিয়েছেন। টানা দুই দিন তাঁরা সংকেত পাঠানোর চেষ্টা করে গিয়েছেন। বিভিন্ন দেশ এই উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে। তার মধ্যে ফ্রান্স একটি গভীর-সমুদ্র রোবট ওই অঞ্চলে মোতায়েন করেছে। ব্রিটেন আবার নিখোঁজ সাবমেরিনটি খোঁজার জন্য আরেকটি সাবমেরিনার টাইটানিকের কাছে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন- তেজসের জন্য মার্কিন সংস্থার সঙ্গে ইঞ্জিন সংক্রান্ত চুক্তি, কেন তা যুগান্তকারী?
গভীর সমুদ্রের অন্বেষণকারী ড. ডেভিড গ্যালো, বৃহস্পতিবার সকালে এক ব্রিটিশ নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন যে দুই দিন ধরে সেন্সরের শব্দ-সহ তিনটি ভিন্ন বিমানের শব্দের মত আওয়াজ জলের নীচ থেকে ঘনঘন শোনা গেছে। এইপ্রসঙ্গে মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর একজন আধিকারিক বলেছেন যে শব্দগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে অনুসন্ধান কিছুটা হলেও গতি পেয়েছে। তবে দুঃখের কথা হল যে শব্দের সঠিক অবস্থান এবং উত্স এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। যদিও মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী বলেছে যে কর্তৃপক্ষ এখনও ডুবোজাহাজে থাকা যাত্রীদের বেঁচে থাকার আশা রাখছে। তবে, উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা বৃহস্পতিবার সকালেই ডুবোজাহাজ টাইটানে অক্সিজেন ফুরিয়ে গিয়ে থাকতে পারে।