অর্ডিন্যান্স এনে সিবিআই-ইডি অধিকর্তার মেয়াদ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রে খবর, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে যাবে। পাশাপাশি দলের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি বলেন, 'অর্ডিন্যান্সের একটা শব্দ খুব গুরুত্বপূর্ণ এক্সটেনশন বা মেয়াদবৃদ্ধি। অর্থাৎ তোমাকে পর্যবেক্ষণে রাখা। প্রভু- ভৃত্যের সম্পর্ক। তুমি আমার নজরে থাকবে। ছয়, মাস নয় মাস অন্তর তোমাকে মনে করানো হবে ঝুলে রয়েছে তোমার মেয়াদবৃদ্ধি। তুমি মনিবের কথা শুনে কতটা কাজ করছো। তুমি প্রভুর পক্ষে ভালো কাজ করলে তোমার মেয়াদবৃদ্ধি হবে। অর্থাৎ এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে স্বাধীন ভাবে নয়, কেন্দ্রের অধীনে রেখে কাজ করানোই এই অর্ডিন্যান্সের উদ্দেশ্য।'
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, 'এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় তারা রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছে। সব দলকে এই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।'
নির্বাচন এলেই বিরোধী দল-সহ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয় সিবিআই-ইডি। গত দুই বছর ধরে এই অভিযোগ বরাবর করে এসেছে বিজেপি-বিরোধী দলগুলো। এই আবহে এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার অধিকর্তাদের মেয়াদ বাড়াল মোদি সরকার। অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ জারি করে দুই থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করা হয়েছে সিবিআই-ইডি অধিকর্তার মেয়াদ। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশ স্পেশাল এস্টাব্লিসমেন্ট অ্যাক্ট-১৯৪৬-তে সংশোধনী এনে রবিবার এই বদল আনা হয়েছে। এদিন থেকেই কার্যকর হবে অধ্যাদেশ। যেহেতু এখনও কোনও সংসদের অধিবেশন নেই, তাই রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে এই অধ্যাদেশ কার্যকর করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এই রাজ্যের একাধিক মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। পাশাপাশি ঋণ খেলাপি মামলায় ব্যাঙ্ক প্রতারণায় অভিযুক্ত মেহুল চোকসি, নীরব মোদি আর বিজয় মাল্যকে দেশে ফেরাতেও তৎপর এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাই কোনও তদন্তের গতি যাতে শ্লথ না হয়। তাই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। এমনটাই আইন মন্ত্রকের একটি সুত্রের খবর।
যদিও বিরোধীদের দাবি, ‘এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার অধিকর্তা নিয়োগে একাধিকবার মুখ পুড়েছে মোদি সরকারের। কোনও ক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকা অধিকর্তার মেয়াদ বৃদ্ধিতেও বিরোধিতার মুখে পড়েছে মোদি সরকার। সেই বিড়ম্বনা এড়াতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।‘ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের আগেই একাধিকবার খবরের শিরোনামে এসেছে সিবিআই এবং ইডি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন