প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই এবার মতুয়া মহাসংঘের অন্দরে ক্ষোভের আগুন। যুযুধান তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুললো মতুয়ারা। কেন প্রার্থী তালিকায় নাম নেই মতুয়াদের? তা নিয়েই অসন্তোষের মাত্রা চড়েছে। দাবি পূরণ না হওয়ায় বিজেপি বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং তৃণমূল সমর্থিত মতুয়া সংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর একযোগে তৃণমূল-বিজেপির তোপ দেগেছেন। এককদম বেড়ে তাঁদের হুঁশিয়ারি, 'এবার ভোটে কাকে সমর্থন করা হবে তা মতুয়ারা নিজেদের মতো করেই সিদ্ধান্ত নেবে।'
তৃণমূলের মতুয়া ভোট ব্যাংকে থাবা বসিয়ে গত লোকসভা ভোটে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রটিতে জয় পায় বিজেপি। তারপর থেকেই ওই এলাকায় বিজেপির কার্যক্রম বাড়ে। যদিও সিএএ কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তোপের মুখে পড়তে হয় পদ্ম বাহিনীকে। পরে অবশ্য শাহী হস্তক্ষেপে তা মেটে। এমনকী মতুয়াদের ক্ষতে প্রলেপ দিতে ভোট ঘোষণার আগেই বনগাঁয় সভা করেন অমিত শাহ। যেখানে ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল বলে দাবি করে বিজেপি। এরপরই মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় একুশের ভোটে মোট ৩০টি আসনের দাবি জানায় অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ। কিন্তু অভিযোগ, সেই দাবি পূরণ হয়নি। একটি আসনও তাদের প্রার্থী দেওয়া হয়নি।
এপ্রসঙ্গে সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের প্রধান সেবায়েত তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ক্ষোভ উগরে বলেন, 'অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের পক্ষ থেকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে ৩০ টি আসন দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু, মতুয়াদের একটি আসনও দেওয়া হয়নি বিজেপির পক্ষ থেকে। এতে ক্ষিপ্ত মতুয়া ভক্তরা। আগামী দিনে তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা মতুয়ারাই ঠিক করবেন।'
জোড়া-ফুলের বিরুদ্ধে একই বঞ্চনার অভিযোগ এনেছেন বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বলেন, 'তৃণমূলের কাছে মতুয়াদের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজনকে প্রার্থী করার আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু দল তা মেনে নেয়নি। এতে অসম্মানিত মতুয়ারা।'
এখনও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাকি। তাতেই কী মতুয়া বেশ কয়েক জন প্রার্থীর নাম থাকবে? মতুয়া ভোট ধরে রাখতে তাদের ক্ষোভ প্রশমণে উদ্যোগী হবে মোদী-শাহরা? প্রথম পর্যায়ের ভোটের মাত্র দিন কয়েক আগে এখন নজর সেদিকেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন