ভোট যত এগোচ্ছে, তত বাড়ছে তৃণমূল (TMC) বনাম তৃণমূলত্যাগীদের দ্বন্দ্ব। মানহানির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লম্বা-চওড়া চিঠি পাঠিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই চিঠিতে জবাবদিহি তলব করা হয়েছে। জবাবি চিঠিতে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ আবার লিখেছেন, ‘জার মান আছে, তার মানহানি হয়।‘ এভাবে যখন সপ্তমে অভিষেক-শুভেন্দু দ্বন্দ্ব, তখন আবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovon Chatterjee) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী ১০ কোটি টাকার ওই মানহানির মামলা দায়ের করেছেন।
কুণাল নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার আদালতে গিয়েছিলেন। পরে কুণাল জানিয়েছেন, ‘আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের বিরুদ্ধে আরও একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করব।‘ তাঁর কথায়, ‘শোভন রাজনৈতিক যুক্তি হারিয়ে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। সেখানে তিনি এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা শুধু অরাজনৈতিকই নয়, অসংসদীয় ও কুরুচিকর। আমি ওঁকে এর জবাব রাজনৈতিক ভাবে দেব, রসিকতায় দেব। ও যেহেতু তালজ্ঞান হারিয়ে কুৎসিত ভাষার ব্যবহার করেছে, ফলে আমি ওঁর বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলাও করব।’
গত ১৫ জানুয়ারি শোভনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার কথা জানিয়েছিলেন কুণাল। কারণ তার আগে সাংবাদিক বৈঠক থেকে কুণালকে ‘পকেটমার’-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন শোভন। শুধু তাই নয়, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ‘বেতন পাওয়া’ কুণাল ‘দালাল’-এর কাজ করতেন বলেও আক্রমণ করেছিলেন তিনি। এর আগে কুণালকে ‘দাগী আসামী’ বলেও আক্রমণ করেছিলেন শোভন। এই সব মন্তব্যের জন্যই তিনি আইনি পদক্ষেপ করতে চান বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণাল। সেই ঘটনার এক মাসের মধ্যেই শোভনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হল, আরও একটি মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।