Advertisment

রাজ্যসভা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য রঞ্জন গগৈর! স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ TMC-র

‘রাজ্যসভায় কী ম্যাজিক আছে? আমি সাংসদ না হয়ে কোনও ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হলে আরও বেশি ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা পেতাম।‘

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Ranjan Gogoi, EX-CJI, Rajy Sabha

প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।

Parliament: দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা সাংসদ রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ। সংসদ অবমাননার দায়ে গগৈয়ের তৃণমূল কংগ্রেস এই নোটিশ দিয়েছে। সাংসদ মৌসম বেনজির নূর স্বাধিকারভঙ্গের এই নোটিশ দিয়েছেন। বিজেপি-বিরোধী কয়েকটি দলের সাংসদরা একই পথে হেঁটে এই নোটিশ দিতে পারে। এমনটাই জাতীয় রাজনীতিতে গুঞ্জন।

Advertisment

জানা গিয়েছে, দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসরগ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন তিনি। কিন্তু সংসদে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার ঘিরে বিতর্কের শুরু।

সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘করোনা বিধি, সামাজিক দুরত্ব বিধি এবং বসার ব্যবস্থা ইত্যাদি ইত্যাদি কারণে আমি সংসদ এড়িয়ে চলি। তাছাড়া যখন আমার মনে হয় সংসদে যাওয়া উচিত, কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা উচিত, তখনই যাই।‘

এখানেই থামেননি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অবসরের ৪ মাসের মাথায় আপনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন, এতে কী বিতর্ক তৈরি হয়নি? তিনি বলেছেন, ‘রাজ্যসভায় কী ম্যাজিক আছে? আমি সাংসদ না হয়ে কোনও ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হলে আরও বেশি ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা পেতাম।‘ এই জাতীয় মন্তব্যের জেরেই তৃণমূল সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ এনেছে। সেই নোটিশে উল্লেখ, ‘রঞ্জন গগৈয়ের মন্তব্যে সংসদের মর্যাদা এবং সম্মানহানি হয়েছে।‘

এদিকে, সম্প্রতি তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে অযোধ্যা মামলার রায়দান প্রসঙ্গ। অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পরে তাজ মানসিং হোটেলে গিয়েছিলাম। আমাকে সঙ্গত দিয়েছিলেন বেঞ্চের অন্য বিচাপতিরা। সেখানে আমাদের প্রিয় ওয়াইন দিয়ে চাইনিজ খেয়েছিলাম। আত্মজীবনীতে সেদিনের কথা এভাবেই লিখলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ২০১৯-এর ৯ নভেম্বর বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন এই বেঞ্চের অন্য সদস্যরা ছিলেন তাঁর উত্তরসূরি বিচারপতি এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং আবদুল নাজির।

রায় ঘোষণার দিন সন্ধ্যায় বাকি ৪ বিচারপতিকে নিয়ে তাজ মানসিং হোটেলে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তাঁর আত্মজীবনী জাস্টিস ফর দা জাজ—এই প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে। তিনি লেখেন, ‘সেই সন্ধ্যায় অযোধ্যা মামলার রায় দিয়ে আমরা তাজ মানসিং হোটেলে গিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের এক নম্বর ঘরে জাজেস গ্যালারির সামনে সেক্রেটারি জেনারেল ছবি তোলার আয়োজন করেছিলেন। তারপর হোটেলে গিয়ে পছন্দের ওয়াইন দিয়ে চাইনিজ খেয়েছিলাম। সবচেয়ে প্রবীণ বিচারপতি হিসেবে আমি সেই খাবারের বিল মিটিয়েছিলাম।‘

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

TMC MP Privilege Motion Ranjan Gogoi Rajya Sabha
Advertisment