Tripura: সদ্য সমাপ্ত আগরতলা পুরভোটে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি। ভোটের নামে প্রহসন চালিয়েছে শাসক দল বিজেপি। এই অভিযোগ নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টেই দরবার করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল অবিলম্বে মামলা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে শুক্রবার আবেদন করেছেন। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এএস বোপান্নার কাছে এই আবেদন করা হয়েছে। এদিন সংবিধান দিবস সংক্রান্ত কর্মসূচি ঘিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে শীর্ষ আদালতে। ফলে অন্য ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে। এই প্রস্তাবের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিবাল বলেছেন, ‘প্রয়োজনে শনিবার জরুরিভিত্তিতে এই মামলা গ্রহণ করে শুনানি হোক।‘
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে রাজ্য সরকা এবং নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রয়োজনে ভোট চলাকালীন সংবাদ মাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেসব কিছুই হয়নি। উলটে ভোট চলাকালীন হিংসা এবং নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। বিরোধী দলের প্রার্থীদেরও ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। সংবাদ মাধ্যমেও প্রচার হয়েছে আগরতলা পুরভোটে লঙ্ঘন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ।‘ এই অভিযোগ তুলেই জোড়া মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছে ঘাসফুল শিবির। একটি মামলায় আবেদন ভোট গণনা এবং ফল প্রকাশ স্থগিত রাখা এবং অন্য মামলায় আবেদন কোর্টের নজরদারিতে কমিশন গঠন করে হিংসার ঘটনার তদন্ত করা।
প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘সিএপিএফ-র দুই ব্যাটালিয়ন ভোট গ্রহণের সময় মোতায়েন করা হয়নি। প্রতি প্রার্থীপিছু দুই জন পুলিশ কনস্টেবল দেয়নি নির্বাচন কমিশন আমাদের সঙ্গে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব শুনানির ব্যবস্থা করা হোক।‘
এদিকে, অশান্তি এড়ানো গেল না ত্রিপুরা পুরভোটে। বৃহস্পতিবার ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আগরতলার বিভিন্ন প্রান্তে গন্ডগোল। বেধড়ক মারধরে এক তৃণমূল এজেন্টের মাথা ফেটেছে। হামলার শিকার খোদ জোড়াফুলের প্রার্থীও। একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূলের কর্মীদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠলেও জোড়াফুলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। এদিকে, নির্বাচনে অশান্তি নিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মিলছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
এদিন ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরেই ‘আক্রান্ত’ হন আগরতলার ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তপন বিশ্বাস। ভোট দিয়ে বেরনোর সময় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থীর দুটি চোখেই গুরুতর আঘাত লেগেছে। কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে যান তপন বিশ্বাস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন