TMC: মঙ্গলবার গোরক্ষপুরে নাম না করে অখিলেশ যাদবকে ‘লাল টুপি’ কটাক্ষে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী। লাল টুপি মানে রাজ্যে লাল বাতি, এমন মন্তব্য শোনা গিয়েছে মোদির মুখে। এবার মোদির সেই কটাক্ষকে ঘুরিয়ে বিঁধলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গলবারের বক্তব্যকে ট্যুইট করে পিএমও। সেই ট্যুইট শেয়ার করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘সংসদ অধিবেশনের শুরুতে আপনি সর্বদল বৈঠকে থাকেননি। কৃষি বিল প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনার সময় আপনি সংসদে থাকেননি। বিরোধীদের একটা প্রশ্নের উত্তরও আপনি দেননি। এখন বুঝলাম বিশেষ কী কাজে আপনি এত ব্যস্ত!’
বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের করা এই কর্মসূচির ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক। সরকারি অফিস থেকে কীভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচার করা যায়? প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তাদের অভিযোগ, ‘নরেন্দ্র মোদি সরকারি মাধ্যমকে রাজনৈতিক প্রচারের জন্য অপব্যবহার করছেন। কীভাবে পিএমও আপনার রাজনৈতিক বক্তব্য প্রচার করতে পারে?’
এদিকে, ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধনে উত্তর প্রদেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার তিনি তিনটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। গোরক্ষপুর এইমস, সার কারখানা এবং আইসিএমআর এবং আরএমআরসির যৌথ উদ্যোগে উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণাগার। এই অনুষ্ঠানের উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ, ‘সারা উত্তর প্রদেশ জানে লাল টুপি লাল বাতির কারণ। লাল টুপি মানেই রাজ্যে বিপদের পূর্বাভাস। লাল টুপি যারা পরেন তাঁরা আপনাদের বেদনা, সমস্যা নিয়ে চিন্তিত নয়। তাঁরা শুধু ক্ষমতা চায়, বেআইনি দখলদারি চায়, মাফিয়া রাজ চায়।‘
তাঁর দাবি, ‘গোরক্ষপুরের অনুষ্ঠান প্রমাণ করে দিয়েছে সংকল্প থাকলে নতুন ভারতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।‘ মোদির কথার সুত্র ধরেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘পরিত্যক্ত সার কারখানা নতুম উদ্যমে শুরু করার ক্ষমতা একমাত্র বিজেপির আছে। ১৯৯০ সালে এই কারখানা বন্ধ হয়েছ, ২০১৪ পর্যন্ত কেউ কারখানা খোলার ব্যাপারে কর্ণপাত করেনি। এই কারখানার হাত ধরেই পূর্ব উত্তর প্রদেশে উন্নয়নের জোয়ার বইবে।‘ এদিন সেই মন্তব্যকেই ট্যুইট খোঁচায় বিঁধলেন ডেরেক ও ব্রায়েন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন