Afghanisthan Update: আফগানিস্তান পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বিদেশ মন্ত্রকের ডাকা সর্বদল বৈঠকে থাকবে তৃণমূল। সোমবার নবান্নে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের শাসক দলের সুপ্রিমো হিসেবে তাঁর এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। ২৬ অগাস্ট বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের নেতৃত্বে এই বৈঠক হবে। মূলত আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান এবং সেদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারে নেওয়া উদ্যোগ নিয়েই এই বৈঠক। এমনটাই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর।
এদিকে, দিনকয়েক আগে আফগানিস্তানে আটকে থাকা বাংলার নাগরিকদের উদ্ধারে মোদী সরকারকে আবেদন করেছিল নবান্ন। তারপর ধাপে ধাপে একাধিক উদ্ধারকারী বিমানে দেশে ফিরেছেন রাজ্যের বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পরিবারের কাছেও ফিরে গিয়েছেন। রবিবার বাগডোগরা হয়ে উত্তরবঙ্গে পরিবারের কাছে ফিরেছেন ডাচ দূতাবাসে কাজ করা প্রাক্তন সেনাকর্মী। নিমতায় ফিরেছেন এক শিক্ষক। এই আবহে কেন্দ্রের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকের দিকে নজর আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং সেদেশ থেকে এ দেশে ভারতীয় ও আফগান শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে সংসদের উভয় কক্ষের দলীয় নেতাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ জানাবে কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রককে এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার এই ঘোষণা করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধান করছেন সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।
তালিবানদের আফগানিস্তান দখলের পর ধ্বস্ত সেদেশ। ইতিমধ্যেই বায়ু সেনার বেশ কয়েকটি বিমানে আফগানিস্তান থেকে এ দেশের নাগরিকদের ভারতে ফেরানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে এসেছেন আফগান পার্লামেন্টের সেনাটররা সহ বহু শরণার্থীও। আনুমানিক হিসাব অনুসারে বর্তমানে আফগানিস্তানে ৪০০ ভারতীয় রয়েছেন। তাঁদের এ দেশে ফিরিয়ে আনা, শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়েই সংসদের উভয় কক্ষের দলনেতাদের বার্তা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
অপরদিকে, এক সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর প্রতিরোধ বাহিনীর দখলে থাকা তিন জেলা কব্জায় নিল তালিবান। আফজ্ঞানিস্তান দখলের পর উত্তর আফগানিস্তানের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে তালিবান বাহিনী। তারপর থেকেই তালিবান-বিরোধীদের সঙ্গে চলেছে যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে জয়ের পরেই বাঘলান প্রদেশের বানো, দেহ সালেহ আর পুলে হিসার কব্জায় নিয়েছে তালিবানরা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এমনটাই খবর।
৩১ অগাস্ট পর্যন্ত ওয়াশিংটনকে সময় বেঁধে দিল তালিবানরা। এই সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানে থাকা সব মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করতে হবে। নয়তো এরপর আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারপর শত অনুরোধেও নাগরিক উদ্ধার করতে পারবে না বাইডেন সরকার। এই সময়ের মধ্যেই আমার ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পাশাপাশি পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তড়িঘড়ি জি-৭ বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠকেই আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন নিয়ে গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে পশ্চিমী দেশগুলো।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন