নরেন্দ্র মোদীর ‘দিদি, ও দিদি’, ডাকে আপত্তি তুলেছে তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড। রবিবার রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক করেন শশী পাঁজা, জুন মালিয়া এবং অনন্যা চক্রবর্তী। সেই বৈঠক থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ওই ডাকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীতে ওই ভঙ্গিতে ডেকে আদতে বাংলার মহিলাদের অসম্মান করছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই অভিযোগ তাঁদের। মেয়েদের টিপ্পনী কাটতে এই ধরনের বাচনভঙ্গি ব্যবহার করা হয়। এদিন অভিযোগ করেন শ্যামপুকুরের তৃণমূল প্রার্থী শশী পাঁজা।
মহিলাদের প্রতি তাচ্ছিল্য ও হেনস্থার সুরেই ‘দিদি, ও দিদি’ ডাক মোদীর। এমন দাবি করেন তাঁরা। তাদের মতে, বিজেপি বুঝতে পেরেছে হার নিশ্চিত সেই কারণেই এই ধরনের 'অপমানসূচক' বক্তব্য রাখা।
এই বৈঠক থেকেই গুজরাটের নারীসুরক্ষার বিষয়ে কয়েকটি তথ্য তুলে ধরলেন অনন্যা চক্রবর্তী। সমাজকর্মী তথা চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্যা চক্রবর্তী এদিনের বৈঠকে দেখান, গুজরাট বিধানসভায় পেশ করা পরিসংখ্যান বলছে, গুজরাটে প্রতিদিন চারটি করে ধর্ষণ হয়েছে। দৈনিক গড়ে ছটি করে অপহরণ হয়েছে। গত দু’বছরে ৩ হাজারের বেশি ধর্ষণ রয়েছে। রাজধানী আমেদাবাদে ধর্ষণ সবচেয়ে বেশি।
দেখুন সেই সাংবাদিক বৈঠক:
বৈঠকে জুন মালিয়া বললেন, ‘আমি কখনও দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি এমন একটা দিন আসবে। ভাবতেও খারাপ লাগছে এভাবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, বাংলার প্রতিটি মা বোনকে অপমানৱ করা হচ্ছে। দিদির হাত ধরে বাংলার নারীজাতিকে অপমান করা হয়েছে। সাতবার সাংসদ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ বছর ধরে তিনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। যে ভাবে ওঁকে প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করছেন, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।‘
তাঁর দাবি, ‘পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু, নরসীমা রাও, অটলবিহারী বাজপেয়ী, মনমোহন সিং-মনে পড়ছে না এভাবে কখনও কথা বলেছেন। ওঁকে ভরসা করে আমরা আমাদের দেশের প্রতিনিধির আসনের বসেছি। আমরা বলছি খেলা হবে। খেলা হবে উন্নয়নের, খেলা হবে সবাইকে ভালো রাখার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বিরোধী বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করার খেলায় মেতে উঠেছেন। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস পশ্চিমবঙ্গবাসী এর জবাব দেবেন।‘
এদিকে, তৃণমূল মহিলা ব্রিগেডের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি মহিলা শাখার সভেনেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন তিনি বলেছেন, ‘তুই-তোকারি করা ওদের সংস্কৃতি। কিন্তু দিদি ডাকে আপত্তি কোথায়? যারা সংবাদমাধ্যমের সামনে বসে এই অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই শিক্ষিত। আশা করব পার্থক্যটা বুঝবেন।‘