রাজভবন-রাজ্য সরকারের টানাপোড়েন বহুবার দেখেছে পশ্চিমবঙ্গ। এবার সেই ছায়া তামিলনাড়ুতেও। স্তালিনের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার তামিলনাড়ুর শাসনক্ষমতায়। স্তালিন সরকারের অভিযোগ, রাজভবন সরকারের বিল আটকে চাপ বাড়াচ্ছে। সেই কারণে, রাজভবনে চা-চক্র বাতিলের কথাও ঘোষণা করেছেন ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল আরএন রবির সঙ্গে বৈঠকের পর তামিলনাড়ুর দুই মন্ত্রী থাংগাম থেন্নারাসু ও মা সুব্রমনিয়ন একথা জানিয়েছেন। আইনসভার মর্যাদা, সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং জনগণের আবেগকে মাথায় রেখেই রাজভবন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তাঁরা জানান।
এক-দুই না। বিধানসভায় পাশ করা ১১টি বিলে সই করতে দেরি করেছেন রাজ্যপাল আরএন রবি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর নিট-বিরোধী বিলও আছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় শিক্ষা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ বিষয়। তারপরও বারবার রাজ্যের কাজে নানাভাবে মাথা গলাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের মনোনীত প্রতিনিধি রাজ্যপালের মাধ্যমে রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে বিব্রত করতে চাইছে। যার নমুনা ১১টি দেরি। সেই কারণেই রাজভবন বয়কটের সিদ্ধান্ত বলে তামিলনাড়ু সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। এই ব্যাপারে তামিলনাড়ু সরকারের এক আমলা জানিয়েছেন, মার্চের শেষ অবধি ২১টি বিল আটকে ছিল রাজভবনে। তার মধ্যে কয়েকটা তো আবার আগের এআইএডিএমকে সরকারের। ফলে, রাজভবনের উদ্দেশ্য বুঝতে বাকি নেই কারও। আর, সেটা বুঝেই রাজভবনের ওপর ক্ষুব্ধ তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার।
আরও পড়ুন- তদন্ত ছাড়া প্রধানমন্ত্রীও কারও ঘর ভাঙতে পারেন না, খারগোনে বুলডোজার চালানোয় আপত্তি গেহলটের
যে সব বিলগুলোয় এখনও তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের সই বাকি, তার অন্যতম হল স্পর্শকাতর নিট-বিরোধী বিল। তামিলনাড়ু সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, তারা কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করা নিটের মাধ্যমে তামিলনাড়ুতে ডাক্তারি কোর্সে ভর্তির বিষয়টি মানবে না। এই বিল রাজ্যপাল সই করলে তবেই তা কার্যকর হবে। সেই প্রত্যাশাতেই এখন ভর্তির অপেক্ষায় দিন গুনছেন কয়েকশো মেডিক্যাল পরীক্ষার্থী। চলতি বছরের জুনেই তাঁদের ভর্তির কথা। রাজ্যপাল দেরি করলে, সেই প্রক্রিয়ায় দেরি হয়ে যেতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন পরীক্ষার্থীরা।
Read story in English