Advertisment

সম্মতিসূচক সম্পর্ককে অপরাধী বানানোর চেষ্টা, পকসোর অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব আদালত

অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার সময় পর্যবেক্ষণে একথা জানিয়েছেন বিচারপতি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Delhi_High_Court

পকসো শিশুদের যৌনশোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি হয়েছে। তরুণ এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিসূচক সম্পর্ককে অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করার জন্য নয়। এক ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণে একথা জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট (POCSO)-এর আওতায় অপহরণ এবং অপরাধের মামলায় এক ব্যক্তিকে জামিন দেওয়ার সময় দিল্লি হাইকোর্ট একথা জানিয়েছে। আদালত স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে যে পকসো আইন শিশুদের যৌন শোষণ থেকে রক্ষা করতে চায়। তবে, তা তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিমূলক রোমান্টিক সম্পর্ককে অপরাধী না-করেই।

Advertisment

বিচারপতি জসমিত সিংয়ের সিঙ্গল বেঞ্চ মামলায় নির্দেশ দেওয়ার সময় POCSO আইন, যৌন নিগ্রহ (ধারা ৬), প্ররোচনা (ধারা ১৭), অপহরণ (ধারা ৩৬৩), ধর্ষণ (ধারা ৩৭৬)-এর একটি মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, তথ্য ও পরিস্থিতির বিচার করে দেখতে হবে নির্যাতিত চাপের মুখে পরিস্থিতির সঙ্গে আপোষ করতে বাধ্য হয়েছেন কি না, বা তিনি ট্রমায় চলে গিয়েছেন কি না।

আরও পড়ুন- রামদেবের সংস্থার ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, উত্তরাখণ্ড সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বালকৃষ্ণর

যে মামলার বিচার চলাকালীন এই সব প্রসঙ্গে উঠেছে, তার তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালের ৩০ জুন একজন ১৭ বছর বয়সি মেয়ের বিয়ে হয়েছিল এক ব্যক্তির সঙ্গে। কিন্তু, সে ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকতে চায়নি। ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর, মেয়েটি তার এক বন্ধুর বাড়ি চলে যান। ওই বন্ধু তাঁকে নিয়ে চলে যান পঞ্জাবে। সেখানে তাঁদের বিয়ে হয়। মেয়েটির বাবা তখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে তাঁর মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তি পঞ্জাবে নিয়ে গেছেন।

এই মামলায় বিচারপতি জসমিত সিং অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবীর উপস্থিতিতে নিজের চেম্বারে নির্যাতিতর সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি জানতে পারেন, ২৮ অক্টোবর বিয়ের সময় নির্যাতিতা একজন কিশোরী ছিলেন। সেই সময়, তাঁর বয়স ছিল প্রায় ১৭ বছর। কারণ, তাঁর জন্মতারিখ ২০০৪ সালের ১ অক্টোবর।

Read full story in English

pocso Delhi High Court Arrest
Advertisment