ভারতের প্রথম অর্থনৈতিক 'অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক' তকমা পাওয়া বিজয় মালিয়ার যুক্তি ছিল ভারতে তার বিরুদ্ধে করা সিবিআইয়ের তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট, কারণ স্বয়ং সিবিআই স্পেশাল ডিরেক্টর, রাকেশ আস্থানা, যিনি এই তদন্তের নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এই মর্মে ভারতে মালিয়ার ব্যাঙ্ক একাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাঠাতে বারণ করে সুইস ফেডেরাল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছিলেন মালিয়ার সুইস আইনজীবী। আদালত সে আবেদন খারিজ করেছে।
সুইস ফেডেরাল ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে বিজয় মালিয়ার আবেদন খারিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন গথাম ডাইজেস্ট। তিনি জানিয়েছেন মালিয়ার আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ থাকায়, সুইস আদালত যেন সেই তদন্তের রিপোর্টের ওপর ভরসা করে রায় না দেয়।
আরও পড়ুন, সিবিআই-ডিরেক্টরকে নিয়ে নয়া মামলা, সরে দাঁড়ালেন প্রধান বিচারপতি
২০১৮-এর ২৬ থেকে ২৯ নভেম্বরের মধ্যে তিনটি রায় দেয় সুইস আদালত। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সে সময় মালিয়ার আইনজীবী সব রকম চেষ্টা করেছিলেন যাতে তাঁর মক্কেলের ব্যাঙ্কিং লেনদেনের বিশদ বিবরণ দেশে না পাঠানো হয়। আবেদন জানানো হয়েছিল, যাতে ইউরোপিয়ান কনভেনশন অব হিউম্যান রাইটস (ইউসিএইচআর) অনুযায়ী সিবিআই কে বিজয় মালিয়ার ব্যাঙ্কিং লেনদেন সংক্রান্ত কোনও তথ্য না পাঠানো হয়। কিন্তু সুইস আদালত স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিল মালিয়ার মামলা ইউসিএইচআর ভুক্ত হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৮তেই পাশ হয়েছে ‘আর্থিক কারচুপি আইন’। আইন হওয়ার পর দেশের প্রথম ‘পলাতক আর্থিক অপরাধী’র-এর খেতাব জুটল বিজয় মালিয়ার। মুম্বই আদালত কিংফিশার মালিককে আর্থিক অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করার পর এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। বিজয় মালিয়া এখন রয়েছেন ব্রিটেনে। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সেদেশের আদালতে আর্জি জানিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। গত মাসে ব্রিটেনের আদালতে জানায় তাঁকে ভারতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। মালিয়া আদালতে বলেছিলেন, ভারতের জেলের ভিতরে বন্দিদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়। পালটা ভারতের জেলের ভিতরকার ভিডিও আদালতে পেশ করেন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
Read the full story in English