আমেরিকা-ভারত সম্পর্ক সেরা পর্যায়ে'! ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে চন্দ্রযানের সঙ্গে তুলনা বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের। তিনি দুদেশের সম্পর্কের বিষয় বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক প্রতিটি পর্যায়ে তার প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই কারণেই আজ আমরা দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টাও করি না। শনিবার এখানে ভারতীয় দূতাবাস আয়োজিত 'সেলিব্রেটিং কালার অফ ফ্রেন্ডশিপ' প্রোগ্রামে অংশ নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশ থেকে 'ইন্ডিয়া হাউস'-এ জড়ো হওয়া ইন্দো-আমেরিকানদের উদ্দেশে জয়শঙ্কর বলেন, "আজ ভারত-মার্কিন সম্পর্ক সর্বকালের সেরা পর্যায়ে রয়েছে" ।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক মার্কিন সফরের পর ভারত ও আমেরিকার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের উন্নতির বিষয়ে খোলাখুলি মত বিনিময় করেন। ওয়াশিংটনে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথোপকথনের সময়, জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে আজ একটি স্পষ্ট বার্তা রয়েছে আমাদের সম্পর্ক সর্বকালের মধ্যে সর্ববৃহৎ উচ্চতায় পৌঁছেছে।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং মনমোহন সিংয়ের আমেরিকা সফরের তুলনা করে জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে 'প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফর ছিল সকলের থেকে একেবারে আলাদা। তাঁর ভাষণে, জয়শঙ্কর দুই গণতন্ত্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতিতে ওয়াশিংটনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তারাঞ্জিত সিং সান্ধুর ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিদেশ মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে আমেরিকায় ভারতীয়দের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেছিলেন যে পন্ডিত নেহেরু যখন ১৯৪৯ সালে আমেরিকায় এসেছিলেন তখন সেখানে ৩ হাজার ইন্দো- আমেরিকান সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। ১৯৬৬ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আসেন, তখন সেখানে ৩০০০০ ইন্দো-আমেরিকান ছিলেন। আজ যখন মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন তখন সেই সংখ্যা ৫০ লাখ।
প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, 'তারা আজ সত্যিকার অর্থে একটি ভিন্ন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছে। এটি এমন একটি ভারত যার কথা আজ সকলের মুখে মুখে। আপনি আজকের এই ভারত চন্দ্রযান মিশনে সফল। এই ভারত G-20 আয়োজন করতে সক্ষম। আজকের ভারত তাদের ভুল প্রমাণ করেছে, যারা বলেছিলেন যে আমরা ২০ টি ভিন্ন মতাদর্শের দেশকে এক মঞ্চে আনতে পারব না'।