চার দিনের সফরে ভারতে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে অংশ নিয়ে ওপার বাংলায় বিনিয়োগ্রগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আজ, অর্থাৎ শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। এক সপ্তাহ আগেই নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছিলেন হাসিনা ও মোদী।
আরও পড়ুন: সিবিডিটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইআরএস অফিসার
এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মুখ্য কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে মারফৎ জানতে পেরেছে, প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরএও পোক্ত করার উপরই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, 'মূলত বাণিজ্যে সমৃদ্ধির উপর নজর দিয়েই ভারতে ইকোনমিক সামিটে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। এটা পুরোদস্তুর কোনও দ্বিপাক্ষিক সফর নয়।'
আসামের এনআরসি ঘিরে নানা বিতর্ক। তারই মাঝে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন গোটা দেশে এনআরসি প্রয়োগ করে অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করা হবে। অন্যদিকে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়েছে। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ ঘিরে সরব পাকিস্তান। এনআরসি নিয়ে উদ্বীগ্ন ওপারের প্রশাসন। তবে, ভারত সফরে এসে গত বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন যে, 'প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথায় আশ্বস্ত হয়েছি। এনআরসি নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।'
আরও পড়ুন: নবমীর পর ভারী বৃষ্টির ভ্রুকুটি, সপ্তমীর সকালে ছাতা মাথায় দুর্গা দর্শন শহরবাসীর
কখনও বন্য, আবার কখনও খরা। ফলে, পিঁয়াজের ফফলন ভাল হয়নি। উৎসবের মরসুমে ভারতে পিঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পিঁযাজের দামের ঝাঁজে নাভিশ্বাস অবস্থা মধ্যবিত্তের। এই অবস্থায় পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে দেশ থেকে পিঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত সরকার। নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপে সমস্যায় বাংলাদেশ। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ায় সেদেশে পিঁয়াজের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। এক লাফে বাংলাদেশে পিঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় পৌছে গিয়েচে। যা নিয়ে ভারত সফরেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা। ভারত যদি বাংলাদেশকে জানিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করত তাহলে সুবিধা হত বলে জানান ওপার বাংলার প্রধানমন্ত্রী। খানিক রসিকতার সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, 'পাচককে বলেছি যেন পিঁয়াজ না দিয়ে রান্না করতে।'
দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতির প্রেক্ষিতে শনিবার হায়দরাবাদ হাউসে তাই মোদী হাসিনা বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
Read the full story in English