/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/05/dilip-mamata.jpg)
আমফানের কেন্দ্রীয় বরাদ্দে কেন দুর্নীতির জোরালো অভিযোগ করলেন দিলীপ ঘোষ?
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ করে ফেললেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। অভিযোগের তির স্বভাবতই তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। এত বড় অভিযোগ কেন তুললেন দিলীপবাবুরা? ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসনে জয় পেয়ে রীতিমত উজ্জীবিত বঙ্গ বিজেপি। তাঁদের এখন একমাত্র ও প্রধান লক্ষ্য ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন। আমফানের জন্য প্রাথমিক ভাবে আসা ১ হাজার কোটি টাকার খরচ নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন। বাকি বরাদ্দকৃত কেন্দ্রীয় অর্থে দুর্নীতি হতে পারে তার আগাম অভিযোগও করে বসলেন। বলেছেন নিয়ন্ত্রণ করতে। রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, নির্বাচনে জয়ের জন্য বড় ধরনের ইস্যু প্রয়োজন হয়। এই মুহূর্তে আমফানের থেকে বড় ঘটনা এ রাজ্যে নেই। যার রেশ আগামী বিধানসভা নির্বাচন অবধি থাকবে। এর মধ্যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আসবে। দিলীপবাবুরা এটাও অবগত আছেন যে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের মত সুযোগ দ্বিতীয়বার হয়ত আসবে না। এখন এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল তারাই। কংগ্রেস ও সিপিএমের সেই শক্তি নেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার। তাই চটজলদি ইস্যু তৈরি করে তা রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে তৎপর পদ্মশিবির।
দুর্নীতি আটকাতে নোডাল অফিসার ও কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে আমফানের কাজ তদারকি
এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে দেখা করে বঙ্গ বিজেপি দাবি করেছে আমফানের কাজ তদারকি করতে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে কাজ করাতে আবেদন করেছে বিজেপি। এমন দাবি করল কেন তারা? শুধুই কী দুর্নীতি আটকাতে এই দাবি? অভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য, মোটেই বিষয়টা এত সহজ ভাববার কোনও কারণ নেই। এভাবে রাজ্যে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা বা কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে কাজ করানোর দাবি কতটা যুক্তি-যুক্ত তা নিয়ে বড় প্রশ্ন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে সব থেকে বেশি সুর চড়িয়েছেন এরাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রাজ্যেই এমন উদ্ভট দাবি করেছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এ রাজ্যে একটা নির্বাচিত সরকার রয়েছে। যার মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। সেখানে এই দাবিকে কেন্দ্রীয় সরকার কতটা মান্যতা দেবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, রাজ্য সরকারকে চাপে রাখতেই এমন দাবি করেছে বিজেপি। রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে পদ্মশিবির।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে দাবি ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা
আমফান ঘূর্ণি ঝড়ে বিপর্যস্ত দক্ষিণ বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। বাঁধ, রাস্তা,কার্লভার্ট, বাড়ি-ঘর, কৃষি জমি, ফল চাষ, শিল্প-কারখানা, মাছ চাষ সহ ক্ষতি হয়নি এমন কোনও ক্ষেত্র নেই। আমফানের পর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ১ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে ১৬ দফা বিষয়ে ক্ষতির পরিমান দেওয়া হয়েছে ১,০২,৪৪২ কোটি টাকার। কোন ক্ষেত্রে কত ক্ষতি হয়েছে তার খতিয়ানও দেওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে এতটা মিল কী করে সম্ভব হল? ইতিমধ্যে রাজ্যের ক্ষতির হিসেব নিয়ে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তবে আমলা মহলে জল্পনা, মুখ্য়মন্ত্রীর ঘোষণার পর কখনও তা নড়চড় হতে পারে! মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আনুমানিক ১ লক্ষ টাকা। আর তা পেরিয়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us