যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে তাপপ্রবাহের কারণে তিন দিনে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। একথা ফাঁস করে দেওয়ায় এবার পদ থেকে সরানো হল এক স্বাস্থ্যকর্তাকে। ওই স্বাস্থ্যকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলে দিয়েছিলেন যে, 'হিট স্ট্রোক'-এর কারণে বালিয়া জেলা হাসপাতালে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একথা বলার একদিন পরেই তাঁকে অপসারণ করা হয়। ওই আধিকারিক চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট পদে ছিলেন। তাঁর নাম ডা. দিবাকর সিং। 'সঠিক তথ্য ছাড়াই তাপপ্রবাহের কারণে মৃত্যুর বিষয়ে অসতর্ক বিবৃতি দেওয়ার জন্য' তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে যোগী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
তবে, ওই অফিসারকে সরিয়েও থামছে না মৃত্যুমিছিল। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলা হাসপাতালে গত তিন দিনে অন্তত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আধিকারিকরা দাবি করেছেন যে এই মৃত্যুগুলো জেলার তাপপ্রবাহের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ঘটেছে। নথি অনুসারে, ১৫ জুন, ১৫৪ জনকে বালিয়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আর, ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ১৬ জুন, ১৩৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। আর ২০ জন মারা গিয়েছেন। ১৭ জুন ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর মৃত্যুর কারণগুলো খতিয়ে দেখতে দুইজন পরিচালক-স্তরের স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি বালিয়ায় পাঠানো হয়।
উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক এক বিবৃতিতে বলেছেন, 'সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বালিয়ার ঘটনাটি সরকার খুব গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছে। ঘটনাস্থলে দুই পরিচালক পর্যায়ের প্রবীণ চিকিৎসককে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন। সিএমএস (বালিয়া জেলা হাসপাতাল) একটি অসতর্ক বিবৃতি দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে অবিলম্বে ওই পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। জেলার সমস্ত হাসপাতালে, আধিকারিকদের প্রতিটি রোগীকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে চিকিত্সা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত ওষুধ হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে। আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।'
আরও পড়ুন- আরিহা শাহ মামলা! কেন ভারতীয় শিশুকে মা-বাবার থেকে কাড়ল জার্মান আদালত?
শনিবার অপসারিত হওয়া চিকিৎসক দিবাকর সিং শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, 'মৃতরা সবাই বৃদ্ধ এবং কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। গরমের কারণে সেসব রোগ বেড়ে যায়। তাঁদের গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা ও পরীক্ষা চলাকালীন তাঁরা মারা যান। ওষুধ ও চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থাই ছিল। তারপরও তাঁরা মারা গেছেন।'