ইরাকে প্রয়াত স্বৈরাচারী শাসক সাদ্দাম হুসেনের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর তুলনা টানলেন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ এক নেতা। বর্তমানে ভারত জোড় যাত্রা উপলক্ষে দেশজুড়ে মিছিলে ব্যস্ত রাহুল গান্ধী। তাঁর সেই যাত্রার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করছে কংগ্রেস। তাতে দেখা যাচ্ছে যে রাহুলের বিরাট দাড়ি হয়ে গিয়েছে।
আর, এই নিয়ে বিজেপির ওই শীর্ষ নেতা রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন। তুলনা টেনেছেন ইরাকের প্রয়াত স্বৈরাচারী শাসক সাদ্দাম হুসেনের সঙ্গে। কারণ, মার্কিন সেনার হাত থেকে বাঁচতে সাদ্দাম হুসেন দীর্ঘদিন লুকিয়ে ছিলেন। সেই সময় তাঁরও বিরাট দাড়ি হয়ে গিয়েছিল। বিজেপির যে শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে সাদ্দাম হুসেনের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন, তিনি হলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বর্তমানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত একসময় আবার কংগ্রেসে ছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যকে স্বভাবতই খোলামনে নেয়নি কংগ্রেস। দলের তরফে প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী আসলে খুবই নিম্নমানের এক কটাক্ষ করেছেন।
বিশ্বশর্মা অবশ্য অসমের মাটিতে নয়। রাহুলের বিরুদ্ধে এই কটাক্ষ করেছেন গুজরাটে। ভোটপ্রচারে তিনি গুজরাটের আহমেদাবাদে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময়ই রাহুল গান্ধীর প্রতি ওই নিম্নমানের কটাক্ষ করেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। সভায় হিমন্ত বলেন, 'আমি এইমাত্র দেখলাম যে তাঁর মুখটা দেখতে একদম বদলে গিয়েছে। আমি একটা টিভি ইন্টারভিউয়ে কয়েকদিন আগে বলেছি যে তাঁকে যদি অন্যরকম দেখতে লাগে, তবে ক্ষতির কিছু নেই। কিন্তু, যদি আপনি আপনার চেহারা বদলান, তবে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মত করুন অথবা জওহরলাল নেহরুর মত করুন। যদি গান্ধীজির মত করেন, তবে সেটা আরও ভালো। কিন্তু, আপনার মুখটা দেখতে সাদ্দাম হুসেনের মত হয়ে যাচ্ছে কেন?'
আরও পড়ুন- প্রকৃত ইতিহাস, কেন বিতর্ক টিপু সুলতানের পিছু ছাড়ে না?
নিজেই এই প্রশ্ন তুলে, তার জবাবও দিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। দীর্ঘদিন কংগ্রেসে কাটানো হিমন্ত বলেন, 'আসলে কংগ্রেসের সংস্কৃতি ভারতীয় জনগণের সঙ্গে মেলে না। তাদের সংস্কৃতি বরং, যারা কোনওদিন ভারতকে বোঝেনি, সেই সব ব্যক্তিদের মত।' হিমন্তের এই কটাক্ষের জবাবে রাহুল অবশ্য কিছু বলেননি। তবে, কংগ্রেস জবাব দিয়েছে। দলের তরফে মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারি জানিয়েছেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কথাবার্তা নিম্নমানের লেগেছে।
বুধবার আহমেদাবাদেই এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, 'আমি প্রতিক্রিয়া দিয়ে এই কটাক্ষকে মোটেও গুরুত্ব দিতে চাই না। আমি মনে করি, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যাতে জনসাধারণের সামনে ভাষা ব্যবহারে সচেতন থাকি। যাতে লোকে তার প্রতিক্রিয়া অন্তত জানাতে পারে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এই সব কথা আমার কাছে ছোট একটা ট্রোলের মত লেগেছে।'
Read full story in English