POCSO Act: যৌন উদ্দেশ্য ছাড়া শিশুকন্যার থুতনি স্পর্শ যৌন নিগ্রহ নয়। সম্প্রতি এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। মধ্যবয়সী এক অভিযুক্তের জামিন মামলায় এমন অবস্থান স্পষ্ট করেন বিচারপতি সন্দীপ শিন্ডে। স্পষ্টতই বিচারপতির এহেন পর্যবেক্ষণের পর ২৭ অগাস্ট জামিনে মুক্ত হয়েছেন অভিযুক্ত মহম্মদ আহমেদ উল্লা।
গত বছর জুলাইয়ে থানে জেলার রাবোডি থানা অভিযুক্তকে নয় বছরের এক শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহের দায়ে গ্রেফতার করেছিল।
সেই অভিযুক্তের জামিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, 'পকসো আইনের ৭ ধারায় বলা যৌন উদ্দেশ্য ছাড়া কোন শিশুর থুতনি স্পর্শ করলে সেটা যৌন নিগ্রহ নয়। এমনকি পুলিশি তদন্তের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছে, 'তথ্য-প্রমাণ প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখে আদালতের মনে হয়েছে অভিযুক্ত উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে সেই নিগৃহীতাকে স্পর্শ করেননি।'
বিচারপতির মন্তব্য, 'জামিন মামলার শুনানির ক্ষেত্রে এই পযবেক্ষণ। গোটা মামলা প্রক্রিয়ায় এই পযবেক্ষণ গৃহীত নয়।'
এদিকে, স্ত্রীয়ের বয়স ১৫ বছরের উপর হলে বৈবাহিক ধর্ষণের বিহিত ভারতীয় আইনে নেই। সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর পর্যবেক্ষণ দিয়েছে ছত্তিশগড় হাইকোর্ট। এই পর্যবেক্ষণের জোরে বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস হয়েছে এক ব্যক্তি। হাইকোর্টে দায়ের করা অপরাধ পুনর্বিবেচনা মামলার শুনানিতে আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকা আইপিসির ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণের জন্য শাস্তি) খারিজ করেছে।
আবেদনকারী অর্থাৎ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের এই ধারা অবৈধ। এমনটাই জানিয়েছেন বিচারপতি এনকে চন্দ্রবংশী। তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের ৩৭৭ (অপ্রকৃতস্থ আচরণ) এবং ৪৯৮-এ (স্ত্রীয়ের উপর নির্যাতন) এই দুটি ধারা বজায় রেখেছে হাইকোর্ট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন